মহেশখালীতে সাংবাদিক হোবাইব’র ঈদ উপহার ও নগদ টাকা বিতরণ

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
কক্সবাজারের মহেশখালীতে আসন্ন ঈদ‌কে সাম‌নে রে‌খে গত বছরে ন্যায় এবছরও প্রায় দেড় হাজার জন হতদরিদ্র ও বিভিন্ন পেশার মানুষ ভালবাসার ঈদ উপহার নতুন জামা শার্ট, শাড়ী ও লুঙ্গি পেয়েছেন।
রবিবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টার সময় উপজেলার কালারমারছড়া বাজারের ভূমি অফিসের মাঠে আর্তের সেবায় আমরা একটি পরিবার এ স্লোগানে উপজেলার কালারমারছড়ার মরহুম খায়রুল্লাহ মাতাব্বর ও ফাতেমা বেগম ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে ভালবাসার ঈদ উপহার নতুন জামা কাপড় বিতরণ করা হয়।
ফাউ‌ন্ডেশ‌নের সভাপ‌তি গেল ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী তরুণ সমাজ সেবক কালারমারছড়ার ঐতিবাহি খস্বরো ঘোষ্টির কর্ণধার তৎকালীন জমিদার মরহুম খাইরুল্লাহ মাতাব্বরের সুযোগ্য নাতী দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিনিধি, মহেশখালী অনলাইন প্রেসক্লাব ও কক্সবাজার উপকূলীয় সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক হোবাইব সজীবের ব্যবস্থাপনায় পারিবারিক নিজস্ব অর্থায়ানে ১৫ রমজান থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার দেড় হাজার নারী-পুরুষকে ৩১ মার্চ এ পর্যন্ত পর্যাক্রমে নতুন জামা কাপড় বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া কালারমারছড়ার মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, নয়াপাড়া হেফজখানা ও এতিম খানাসহ ৪টি প্রতিষ্টানের প্রায় ২শত কোমলমতি প্রতিটি শিক্ষার্থী‌দের হাতে নগদ নতুন টাকাও ঈদ বক‌শিস তুলে দিয়েছেন সাংবাদিক হোবাইব সজীব।
নতুন জামা পেয়ে কালারমারছড়া মোহাম্মদ শাহ ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মনুর কথায় ঝরে পড়ে উচ্ছ্বাস। তিনি বলেন মানবতাবাদী মানুষের এ প্রয়াস যেন জিইয়ে থাকা সারাটি জীবন। তিনি বলেন সাংবাদিক মোহাম্মদ হোবাইব আমাদের হাতে নতুন লুঙি তুলে দিয়েছে। তাই নফল নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করব যেন খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকতে পারে।
অপরজন একই ইউনিয়নের নয়াপাড়ার গ্রামের বাসিন্দা বুড়ি খাতুন বলেন, নতুন শাড়ী উপহার হিসাবে পেয়ে গর্ব বুক ভরে গেছে। ইউনিয়নের মারাক্ষা ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা শ্রমিক নুরুল আলম (৪০) বলেন নতুন ঈদের জামা পেয়ে আমি খুশি, আমার মত হত দরিদ্র নিম্ম আয়ের মানুষ যারা নতুন জামা কাপড় পেয়েছে তারা সকলে খুশি হয়েছে।
সোনাপাড়া হেফাজখানা ও এতিম খানার হাফেজ নুরুল আবছার বলেন, হোবাইবদের এ সাহায্য আল্লাহ যেন কবুল করে।
তরুন সমাজ সেবক ও সাংবাদিক হোবাইব সজীব জানান, এলাকার মানুষের আমাদের কাছে চাওয়া পাওয়া অনেক। তাই পারিবারিকভাবে আমার দাদা-বাবারা এই এলাকার মানুষকে আর্থিক ও সামাজিকভাবে সহযোগিতা করে পাশে ছিলেন। তাই তাদের স্মৃতি ধরে রাখার জন্য এলাকাবাসীর পাশে থাকতে আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে সামান্য প্রয়াস। আগামীতে আরও বড় পরিসরে ঈদ উপহার দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।