চসিক নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াছের ঘর বসবাসের জন্য তৈরি

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাকা বাড়ি তৈরি করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিল চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তজন্য একটি প্রকল্প গ্রহন করে চসিক। প্রকল্পের নাম গৃহ নির্মাণ প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহ নির্মাণ করে দেবে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। নগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি যাচাই – বাছাই করে ৫০ জন অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধার একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। ৫বছরের মধ্যে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় । তাই এ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের গৃহনির্মাণের জন্য আনুমানিক ১৫ কোটি টাকার একটি প্রাক্কলিত বার্জেট প্রস্তুত করে এবং তা আনুমোদন করে চসিক নির্বাচিত পরিষদ। ২০১৭ সালের সিদ্ধান্তের আলোকে একই বছরই এ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন কাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে উদ্যোগি হলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন। তিনি সরকারী নীতিমালার আলোকে প্রথমে নগরীতে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য তাদের একগন্ডা নিজস্ব বসতভিটায় মডেল গৃহ হিসেবে গৃহনির্মাণের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন । সিটি মেয়রের এই নির্দেশনায় নগরীর ১০ নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ ইলিয়াছ , ৪১নং দক্ষিণ পতেঙ্গা ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন , ২৫নং রামপুর ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম , ৩০ পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা নুর আহম্মদ এবং ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ডের মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন এর গৃহ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করে চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং ২০শে এপ্রিল ২০১৭ সালে সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন ১০নং উত্তর কাট্টলীস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর বসতভিটায় “বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন” উদ্বোধন করেন। ঐ তারিখ থেকে চট্টগ্রাম নগরীতে “বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন”এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে অন্যান্যদেরকে গৃহ নির্মাণ করে দেবে চসিক । প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা ভবনে থাকছে ২টি বেড রুম , ১টি কিচেন , ১টি ডাইনিং , ২টি টয়লেট এবং ১টি ড্র্াইনিং কক্ষ। দেশের সিটি কর্পোরেশনসমূহের মধ্যে একমাত্র চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনই নগরীর অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য গৃহনির্মাণ করে দিচ্ছে। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ থাকে যে, ইতোপূবেই এই সরকার অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বহুতল ভবণ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে বিভিন্ন যৌক্তিক কারণে সরকার বহুতল ভবণ নির্মাণ থেকে সরে আসে। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব বসত ভিটায় একতলা ঘর করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। যাদের নিজস্ব বসতভিটা নেই,প্রয়োজনে খাসজমি বন্দোবস্তি দিয়ে ঘর করে দেয়া হবে। এতদসংক্রান্ত বিষয়ে ৩০শে ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় নির্বাচনে বিপুলভাবে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতা নেওয়ার পর একনেকের প্রথম বৈঠকে এই সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। ইতোমধ্যে নগরীতে যে ক”টি “বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন” নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তম্মধ্যে ১০নং উত্তর কাট্টলী ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর গৃহের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সাড়ে ৯শ” বর্গফুট বিশিষ্ট এই গৃহ নির্মান করতে চসিকের ব্যয় হয়েছে আনুমানিক সাড়ে ২৬ লক্ষ টাকা। সিটি মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পর এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবন উদ্বোধন করা হবে এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মো ইলিয়াছ এর পরিবারে মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরের চাবি হন্তান্তর করবেন ।