পথচলায় একুশ ৮ম বর্ষে

‘একুশ মানবিকতা ও আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র’ ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ রোজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’ শিরোনামে ৭ম বর্ষপূর্তি উৎসবের আয়োজন করে। বর্ণাঢ্য উৎসবে ছিলো সুধীজনের আশীর্বাণী, নন্দিত আবৃত্তিশিল্পীদের একক আবৃত্তি, একক সঙ্গীত, দলীয় সঙ্গীত, ছড়া পাঠ, কবিতা পাঠ, দলীয় নৃত্য, মূকাভিনয় মঞ্চ নাটক, পাপেট শো, রক্তের গ্রুপ ও চাপ নির্ণয় কর্মসূচি-সহ নানা আয়োজন। উৎসব পৃষ্ঠপোষকতায় ছিলেন ডেল্টা ইমিগ্রেশন।

জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী আয়োজন শুরু হয় এবং একুশ সদস্যদের অংশগ্রহণে ছিলো সমবেত আবৃত্তি ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে’। একুশ সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ চৌধুরী জিকুর পরিচালনায় সম্মানীত অতিথির আসন অলংকৃত করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহেদ আহাম্মদ, দেশের নন্দিত নাট্যজন ও সাংবাদিক প্রদীপ দেওয়ানজী, চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) – কবি ও প্রবন্ধিক মালেক মুস্তাকিম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা শিল্পকলা একাডেমি চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু। কথামালায় সভাপতিত্ব করেন একুশ সহ-সভাপতি আলপনা বড়ুয়া।

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন আবৃত্তিশিল্পী ইকবাল হোসেন জুয়েল (প্রমিতি সাংস্কৃতিক একাডেমি), অনির্বাণ পাল (আবৃত্তি আলয় বৈখরী), ফারুক তাহের (উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ), বর্ষা চৌধুরী (প্রহর সাংস্কৃতিক সংগঠন), মনিষা দে (প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি), মো. মছরুর হোসেন (মুক্তধ্বনি আবৃত্তি সংসদ), মো. মুজাহিদুল ইসলাম (তারুণ্যের উচ্ছ্বাস), মো. সেলিম ভুঁইয়া (স্বদেশ আবৃত্তি সংগঠন), সুপ্রিয়া চৌধুরী (চট্টলা আবৃত্তি একাডেমি) ও শেখ ফাইরুজ নাওয়াল দূর্দানা (স্পৃহা আবৃত্তি নীড়)।

উৎসবে কবিতা পাঠ করেন কবি আশীষ সেন, কমলেশ দাশগুপ্ত, কামরুল হাসান বাদল ও রুহু রুহেল; ছড়া পাঠ করেন ছড়াকার আ. ফ. ম. মোদাচ্ছের আলী, উৎপলকান্তি বড়ুয়া, কেসপ জিপসী ও জসীম মেহেবুব; দলীয় নৃত্য পরিবেশন করেন মাধুরী নৃত্যকলা একাডেমি এবং সুরঙ্গন বিদ্যাপীঠ ডান্স একাডেমি; একক সংগীত পরিবেশন করেন সঙ্গীত শিল্পী কাবেরী সেনগুপ্তা, হ্যাপী দে ও রাজেশ কর; মঞ্চ নাটক পরিবেশন করেন কথক থিয়েটার (নাটক: অস্পৃশ্য, কাহিনী সূত্র: সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, নাট্যরূপ: শিবলু চৌধুরী, নির্দেশনা: শোভনময় ভট্টাচার্য্য); পাপেট শো পরিবেশন করেন পটিয়ার অন্যতম সংগঠন ক্যানভাস পাপেট থিয়েটার (পাপেট নাটক – মুক্তিযোদ্ধা নুরচাঁন ডাকাত, গল্প ও পাপেট নাট্য সৃজনে – মো. কামরুল ইসলাম) এবং ফ্রী ফিলিস্তিন আর বাংলাদেশের অসহায় বাঙালির গল্প নিয়ে উৎসবে মূকাভিনয় পরিবেশন করেন নাট্যশিল্পী ঈমন কুমার দেব নাথ। আয়োজনে একুশকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার প্রদান করেন বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রাম, উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ, প্রমিতি সাংস্কৃতিক একাডেমি ও চট্টলা আবৃত্তি একাডেমি। উল্লেখ্য, উৎসব সময় জুড়ে একুশ সদস্যরা বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ, চাপ ও স্যুগার নির্ণয়, থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধের লিপলেট বিতরণ করেন।