গায়ানায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে বৃটেন

গায়ানায় যুদ্ধজাহাজ পাঠাচ্ছে বৃটেন। দেশটির প্রতি কূটনৈতিক ও সামরিক সহায়তার প্রতীক হিসেবে এই পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রতিবেশী ভেনিজুয়েলার সঙ্গে গায়ানার একটি অঞ্চল নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। ওই অঞ্চলে রয়েছে ব্যাপক তেল ও খনিজ সম্পদ। ফলে ওই এলাকা ফেরত চায় ভেনিজুয়েলা।

বিবিসি জানিয়েছে, এমন প্রেক্ষাপটে গায়ানার সমর্থনে সেখানে একটি যুদ্ধজাহাজ পাঠাবে বৃটেন। বড়দিনের পর গায়ানায় একটি যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে বৃটিশ যুদ্ধজাহাজ এইক্সএমএস ট্রেন্ট। গায়ানা কমনওয়েলথ সদস্য এবং দক্ষিণ আমেরিকার একমাত্র ইংরেজি ভাষাভাষীর দেশ। বৃটেন যে জাহাজটি পাঠাচ্ছে তা একটি পেট্রোল জাহাজ। এর আগে এটিকে ক্যারিবিয় অঞ্চলে মাদক পাচারকারীদের ধরতে মোতায়েন করা হয়েছিল।

তবে ভেনিজুয়েলার সরকার সম্প্রতি এসেকুইবো অঞ্চলের প্রতি তাদের দাবি নতুন করে উত্থাপন করেছে। এরপরই নতুন উত্তেজনার আশঙ্কা করা হচ্ছে সেখানে।
বিজ্ঞাপন
ভেনিজুয়েলা ওই এলাকা দখলে অভিযান চালাতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। ১৯৮২ সালের পর দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে আর কখনও কোনো যুদ্ধ দেখা যায়নি।

সম্প্রতি ৬১ হাজার বর্গমাইলের এই বিশাল অঞ্চলটিকে নিজের মানচিত্রে যুক্ত করেছে ভেনিজুয়েলা। এটি গায়ানার মূল ভূখণ্ডের দুই-তৃতীয়াংশ। এই অঞ্চলের পাহাড় ও বনাঞ্চল সোনা ও হীরায় পূর্ণ। এছাড়া এই এলাকায় রয়েছে বিপুল পরিমাণ তেলের রিজার্ভ। গত ৩রা ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট মাদুরো এই অঞ্চলকে ভেনিজুয়েলার অংশ করতে একটি গণভোট আয়োজন করেন। এতে বেশিরভাগ মানুষ এটিকে ভেনিজুয়েলার অংশ করার পক্ষে ভোট দেন।

এরপরই আনুষ্ঠানিকভাবে সেটিকে ভেনিজুয়েলার অংশ করা হয়। সেখানে বসবাসরত মানুষদের জন্য নতুন আইডি ঘোষণা করা হয়। এছাড়া নিযুক্ত হন নতুন গভর্নরও। এরপর গায়ানার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করেন মাদুরো। তিনি আশ্বস্ত করেছেন যে শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে নিজেদের ভূখণ্ড উদ্ধার করবে না ভেনিজুয়েলা। তবে দুই দেশের মধ্যে এই অঞ্চল নিয়ে কীভাবে সমঝোতা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।