সিডিএ চেয়ারম্যান এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত

সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে অবশ্যই স্থানীয় কাউন্সিলরদের সহযোগিতা প্রয়োজন। এ কাজে জনপ্রতিনিধিরা সম্পৃক্ত হলে এলাকাবাসী বুঝতে পারবে সরকার তাদের কল্যাণে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
গতকাল মঙ্গলবার সিডিএ চেয়ারম্যান কার্যলয়ে দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ সম্পাদক উমর ফারুক এবং ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফফুদ্দীন খালেদ এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হলে চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ এসব কথা বলেন।
তিনি জানান, অতীতে সিডিএতে সমন্বয়হীনতা থাকার কারণে মেগা প্রকল্পের তেমন অগ্রগতি হয়নি। এখন আমি সবকিছুর খোঁজখবর নিচ্ছি। সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে কাজ করে চলেছেন। চান্দগাঁও’র ডোমখালি খাল খনন ও সংস্কারের ব্যাপারে কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন খালেদ নিজে সেনাবাহিনীর কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে সিডিএ’র চেয়ারম্যান তাতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, সরকারের এত বড় বরাদ্দ যাতে বিফলে না যায় সে ব্যাপারে সকল সংকীর্ণতা পরিহার করে একযোগে কাজ করতে হবে।
সিডিএ’র চেয়ারম্যান মঞ্চ সম্পাদককে বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে সংবাদপত্রগুলো যে ভূমিকা রাখছে তা আমি আজীবন স্মরণ রাখব। কলম সৈনিকদের তথ্যনির্ভর প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে সিডিএ সঠিক পথে চলতে পারে। প্রকল্প বাস্তবায়নে অনেক তথ্য মিডিয়ার মাধ্যমে জনগণ জানতে পারে। চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকরা দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতা নিয়ে কাজ করছেন। সরকার এই সমস্যা সমাধানে বদ্ধপরিকর। এখন প্রয়োজন সব মহলের সহযোগিতা।
এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামসকে চান্দগাঁও ওয়ার্ডের মাঝখানে বয়ে যাওয়া ডোমখালি খাল সংস্কার ও সেতুগুলো নির্মাণে কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন খালেদকে যথাসময়ে তথ্য দিয়ে ও সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দেন।