দেশের মাটিতে বিদেশি ফল সাম্মাম

বিদেশি ফল সাম্মাম চাষে সফলতা পেয়েছে এক কুষক। সম্মাম দেশীয় ফল বাঙ্গীর মত। আরব দেশে এ ফলের উৎপাদন বেশি। প্রবাসী মো. মনিরুল ইসলাম সৌদি আরব থেকে বীজ সংরক্ষণ করে নিয়ে এসে পরীক্ষামূলক ভাবে রোপণ করেন জমিতে। ২৯ মে বুধবার নিজ জমিতে নতুন বিদেশি সাম্মাম ফল পাড়া শুরু করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চায়লে সৌদি আরব ফেরত মো. মনিরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, সৌদি আরবে এসব ফলের ব্যাপক চাহিদা দেখতে পেয়েছি। খেতেও বেশ সুস্বাদু। সেখান থেকেই চিন্তা আসে বীজ নিয়ে গিয়ে দেশে রোপণ করব। যদি ফলন ভাল হয় তবে বাণিজ্যিক ভাবে সাম্মান ফলের চাষ করব।

মনিরুল ইসলাম আরো জানান, প্রায় তিন বিঘা জমিতে গত ৩ মাস আগে এ ফলের বীজ রোপণ করেছিলাম। জমিতে যা যা করণীয় ফল ও গাছের পরিচর্যা করতে তা সবই করেছি। আমি খুব আশাবাদি। আজকেই ফল পাড়া শুরু কররাম। সাম্মান ফল ২ ধরণের হয়ে থাকে। হলুদ মসৃণ আবৃত চামড়ার ভেতরের অংশ একদম আমাদের দেশের বাঙ্গী এর মত। অন্যটি চামড়ার অংশ খশখশে এবং চামড়ার ভেতরে অংশে হালকা হলুদ এবং বাদামি বর্ণের। আপাতত এ ফল ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করব।

জামতলার মণামিনা কৃষি খামারের সত্বাধীকারি মো. মতিউর রহমান জানান, বিদেশ ফেরত মনিরুল ইসলামের চাষকৃত বিদেশি ফল সাম্মাম জমি থেকে আজ পাড়লাম। মনে হচ্ছে সঠিক পরিচর্জা করলে বাংলাদেশের মাটিতেও এ ফল উৎপাদন সম্ভব। আমিও আমার খামাওে সাম্মান ফলের চাষাবাদ শুরু করব।

এ ব্যাপারে হর্টিকলচার সেন্টারের উপ-পরিচালক ড. মো. সাইফুর রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, বিদেশি ফল সাম্মান দেশীয় ফল বাঙ্গীরমত। এটা দেশে মানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফলন হয়েছে এটা বিড়াট অর্জন। সঠিক নিয়ম মেনে জমিতে যদি সাম্মান ফল চাষাবাদ করা যায় তাহলে অবশ্যই এর সুফল পাওয়া যাবে। তিনি আরো জানান, যে কোন বিদেশি ফলের দাম অনেক বেশি। যদি বাণ্যিজিক ভাবে এর
উৎপাদন করা যায় অবশ্যই কৃষক লাভবান হবে।