রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তীতে কলকাতায় নানা আয়োজন

প্রভাতফেরি, রবীন্দ্র সংগীতের সুরে পদচারণা, রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান জোড়াসাঁকোয় রবীন্দ্র গৃহে কবি স্মরণ, রবীন্দ্র সদনে কবি বন্দনা- সব মিলে বাঙালি গঙ্গা জলে গঙ্গা পুজো করতে নেমেছে বুধবার রবীন্দ্রনাথের ১৬২তম জন্মলগ্নে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, যিনি রবীন্দ্রনাথে জড়িত, বলেছেন- এই কঠোর মুহূর্তে রবীন্দ্রনাথ আরও বেশি প্রাসঙ্গিক। বিজেপির সাংস্কৃতিক সংগঠন খোলা হাওয়া রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করছে সায়েন্স সিটি অডিটরিয়ামে। উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নাচ দিয়ে শুরু হবে অনুষ্ঠান। ইস্টার্ন রেলওয়ে অভিনব উপায়ে রবীন্দ্র জয়ন্তী পালন করছে। ইস্টার্ন রেল এর সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের যোগাযোগকে তারা স্মরণ করছে। রবীন্দ্রনাথ প্রথম রেলগাড়ি চড়েন তাঁর এগারো বছর ৯ মাস বয়সে। হাফ টিকিট কেটে তিনি ১৮৭৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হাওড়া থেকে বোলপুর এসেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের শেষ যাত্রা এই ই আই আর এর রেলগাড়িতেই।

১৯৪১ সালের ২৫ জুলাই তিনি বোলপুর থেকে হাওড়া আসেন একটি সেলুন কারে। সেদিন তাঁর সহযাত্রী ছিলেন নিবারণ চক্রবর্তী নামে এক রেল কর্তা। তাঁর সেই সেলুন কারটি ই আই আর ২৩৭৭ এখনও অবিকৃত ভাবে রাখা রয়েছে বোলপুর স্টেশনে। ইস্টার্ন রেলের এই স্মরণ অনুষ্ঠানে আর একটি নতুন তথ্য জানা গেল। রানীগঞ্জ এ বেশ কয়েকটি কয়লা খনির মালিক প্রিন্স দ্বারকা নাথ ঠাকুর রেললাইন নিয়ে গিয়েছিলেন রানীগঞ্জ পর্যন্ত। রেল সম্পর্কে তিনি এতই উৎসাহিত পড়েন যে গ্রেট বেঙ্গল রেলওয়ে নামে একটি কোম্পানি খুলে ফেলেন। কিন্তু, ভারত সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় কোম্পানি চালু করা সম্ভব হয়নি। বুধবার সুরের হিল্লোল জেগেছে গোটা বাংলা জুড়ে। শিলিগুড়িতে রবীন্দ্র বিগ্রহ সংবলিত মন্দিরে পুজো পাঠ চলছে। পঁচিশে বৈশাখ সকালটা দেখে সত্যি মনে হচ্ছে- তখন কে বলে গো সেই প্রভাতে নেই আমি।