পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পর রুশ স্বর্ণে সয়লাব আমিরাত তুরস্ক ও হংকং

ইউক্রেনে মস্কোর অভিযানের পর থেকে পশ্চিমা ক্রেতারা রাশিয়ান স্বর্ণ পরিহার করেছে, বুলিয়ন মার্কেটকে রূপান্তরিত করেছে এবং বিক্রেতারা সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং তুরস্কের ক্রেতাদের দিকে ঝুঁকছে। গ্রুপ অফ সেভেন দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত বছর রাশিয়ান স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ করে এবং সেসব দেশের সংস্থাগুলোকে রাশিয়ার সাথে স্বর্ণ বাণিজ্যে বাধা দেয়।

রাশিয়া একা বার্ষিক ২০ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ ব্যবহার করতে পারে না, ছোট খেলোয়াড়রা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে এগিয়ে গেছে যা জেপিমরগান এবং এইচএসবিসি-এর মতো ক্রেতারা পূরণ করছেন। বøুমবার্গের উদ্ধৃত ইম্পোর্টজিনিয়াস থেকে কাস্টমস ডেটা দেখায় যে, আগস্ট থেকে ছয় মাসে রাশিয়ান পণ্যগুলো পশ্চিমের মতো একই বিধিনিষেধ বহিভর্‚ত দেশগুলোর দিকে ঘুরে গিয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং তুরস্কের মতো জায়গাগুলোতে ব্যবসায়ীরা এখনও রাশিয়ান স্বর্ণ কেনার অনুমতি পায়, কারণ তারা কোনো নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন নয়।

উদাহরণস্বরূপ, হংকং-ভিত্তিক ভিপাওয়ার ফাইন্যান্স সিকিউরিটি, যা চীনা ব্যাঙ্কগুলোর জন্য নগদ এবং স্বর্ণ স্থানান্তর করে, বøুমবার্গের মতে, মার্চ থেকে আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত রাশিয়ান স্বর্ণের ৩০ কোটি ডলারেরও বেশি পরিচালনা করে একটি নতুন খেলোয়াড় হিসাবে আবিভর্‚ত হয়েছে।

এবং তার অংশের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাত ৫০ কোটি ডলারেরও বেশি ধাতব একই প্রসারিত তার উপক‚লে আঘাত করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, এসব ব্যবসায়ীর অধিকাংশই দুবাইতে অবস্থিত, যেমন পালোমা মূল্যবান ডিএমসিসি, যা ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের আমদানি করেছে।
ইতোমধ্যে, ইমপোর্টজিনিয়াস তথ্য অনুসারে, তুরস্ক ছয় মাসে ইস্তাম্বুলে তার বিমানবন্দরের মধ্যদিয়ে রাশিয়ান স্বর্ণের প্রায় ৩০ কোটি ৫০ লাখ ডলার দেখেছে।

তবে, এটা সম্ভব যে, রাশিয়া এখনও যুদ্ধ-পূর্ব স্বর্ণ রফতানির মাত্রায় পৌঁছাতে লড়াই করছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর পদত্যাগ করার আগে জেপি মরগান একাই ২০২২ সালের প্রথম দুই মাসে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন রাশিয়ান স্বর্ণ সরবরাহ করেছে।