স্কোর বোর্ডে লড়াই করার মতো পুজি এনেদিতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। উইকেটও ছিল না বোলারদের অনুকুলে। আম্পাায়ারের কিছু সিদ্ধান্তও টাইগারদের পক্ষে আসেনি। তারওপর মুশফিকুর রহীমের এমন ভুলে ধারনা করা যাচ্ছিলো বড় ব্যবধানেই হারতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। কিন্তু না, শেষ পর্যন্ত অল্প পুজি নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করে হেরেছে মাত্র দুই উইকেটে। বাংলাদেশের ছুড়ে দেয়া ২৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৪৭.১ ওভারে আট উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সাকিব, মিরাজ, সাইফুদ্দিন ও মোসাদ্দেক দুটি করে উইকেট দখল করেন। আগামী ৮ জুন কার্ডিফে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের মোকাবেলা করবে বাংলাদেশ।
এই ওভালে আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৩০ রানের টার্গেট দিয়ে ২১ রানের জয় পায় টাইগাররা।
এদিন তারাই করতে পেরেছিল মাত্র ২৪৪ রান। ২৪৫ রানের জবাবে শুরুটা দারুন করে নিউজিল্যান্ড। মোস্তাফিজ, মিরাজ, মাশরাফির করা প্রথম পাঁচ ওভারে ৩৫ রান সংগ্রহ করে কিউইরা। ব্যাট হাতে ৬৪ রানের পর ম্যাচের ষষ্ঠ ওভারে আক্রমনের দায়িত্বে এসেই মার্টিন গাপটিলকে তামিমের ক্যাচে পরিনত করেন সাকিব। মাত্র ১৪ বলে ২৫ রান করেন এই ওপেনার। নিউজিল্যান্ডের ইংনিসে দ্বিতীয় আঘাতটিও হানেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠার আগেই মুনরোকে ফেরান এই স্পিনার। এই পরেই মুশফিকুর রহীমে ভুলে নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে বেচে যান কিউই অধিনায়ক উইলিয়ামসন। তামিমের থ্রো যেখানে সরাসরি উইকেটে আঘাত হানতো, সেখানে উইকেটের সামনে এসে বল ধরতে গিয়ে আগেই স্ট্যাম ভেঙ্গেদেন মুশফিক। যাতে নিশ্চিত রান আউটের হাত থেকে রক্ষা পান উইলিয়ামসন। রস টেইলরের স্ট্যাম্পিংও মিস করেন মুশফিক। এরা দু’জন তৃতীয় উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৬০ রানে ব্যক্তিগত ৪০ রানে উইলিয়ামসনকে প্যাভিলিয়নের পথ ধরান মিরাজ। ওই ওভারেই টম লাথায়কের সাইফুদ্দিনের ক্যাচে পরিনত করেন এই অফস্পিনার। মিরাজের জোড়া আঘাতের পর জিমি নিশামকে নিয়ে চাপ কাটিয়ে উঠার চেষ্ঠা করেন রস টেইলর। দূর্দান্ত খেলতে থাকা এই ব্যাটসম্যানকে মুশফিকুর রহীমের ক্যাচে পরিনত করে বাংলাদেশকে টাইগারদের ম্যাচে ফেরান মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৯১ বলে ৮২ রানের ইংনিস খেলেন টেইলর। গ্রান্ডহোমকে সাইফুদ্দিন ও জিমি নিশামকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। এ দু’জনের বিদায়ে ২১৮ রানে সাত উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। শেষ দিকে হেনরিকে বোল্ড করেন হারের ব্যবধান কমান সাইফুদ্দিন।
এর আগে মার্ক হেনরি ট্রেন্ট বোল্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে থাকা ধুকতে থাকা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে। হেনরি চারটি, বোল্ড দুই উইকেট দখল করেন। শেষ দিকে কেবল সাইফুদ্দিন চেষ্ঠা করেছেন। যোগ্য সহায়তার অভাবে আড়াইশ রানও করতে পারেনি টাইগাররা। দলের পক্ষে সাকিব সর্বোচ্চ ৬৪ ও সাইফুদ্দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন। এছাড়া তামিম ২৪, সৌম্য ২৫, মুশফিক ১৯ও মিঠুন ২৬ রান করেন।