চেলসির কাছে ধরাশায়ী বার্সেলোনা

প্রথমার্ধে আত্মাঘাতী গোলের পর রোনাল্ড আরাউহোর লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া। দ্বিতীয়ার্ধে বার্সেলোনার সে হতাশা দ্বিগুণ করে দেন এস্তেভাও ও লিয়াম ডেলাপ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে লন্ডনে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে চেলসির কাছে ধরাশায়ী হলো বার্সেলোনা। স্টামফোর্ড ব্রিজে সফরকারীদের ৩-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিলো ব্লুজ।

ম্যাচের প্রথমার্ধে কিছুটা লড়াই করলেও দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণ করে কাতালানদের কোণঠাসা করে রেখেছিল চেলসি। পুরো ম্যাচে ৫২ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে স্বাগতিকরা ১৩টি শট নেয়। যার ৫টিই ছিল গোলমুখে। বিপরীতে ৫ শটে ২টি লক্ষ্য বরাবর রাখতে পেরেছিল বার্সা।

ম্যাচে চেলসির তিনটি গোল বাতিল হয়েছিল অফসাইডের কারণে। যার প্রথমটি চতুর্থ মিনিটে হয়। গোলমুখে বল পেয়ে জালে পাঠান এনজো ফার্নান্দেজ। তবে তার আগে চেলসির ডিফেন্ডার ওয়েসলি ফোফানার হাতে বল লাগায় হ্যান্ডবল ধরেন রেফারি। এক মিনিট পর লিড নেয়ার সুযোগ ছিল হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যদের সামনে। তবে পেনাল্টি এরিয়া থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে শট নিতে ব্যর্থ হন ফেররান তোরেস।

২২তম মিনিটে আবার বার্সার জালে বল পাঠান এনজো, তবে অফসাইডের কারণে এবারও গোল মেলেনি। চেলসির একের পর এক চেষ্টা যখন অফসাইড ফাঁদে নস্যাৎ হচ্ছিল তখন ভাগ্য সহায় হলো প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের কল্যাণে। ২৭তম মিনিটে ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে মার্ক কুকুরেইয়ার কাট-ব্যাকে নেতোর ফ্লিক গোললাইনে আটকে দেন ফেররান তরেস, তবে ডিফেন্ডার কুন্দের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

৪৪তম মিনিটে হতাশা বাড়ান আরাউহো। কুকুরেইয়াকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন এ ডিফেন্ডার। তাতে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা।

সে সুযোগ দ্বিতীয়ার্ধে কাজে লাগিয়ে একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে স্বাগতিকরা। ৫০তম মিনিটে অফসাইডের কারণে গোল বাতিল হলেও ৫৫তম মিনিটে আর রক্ষা পায়নি বার্সা। দারুণ এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এস্তেভাও। পাল্টা আক্রমণে উঠে সতীর্থের পাস দখলে নিয়ে বাঁ প্রান্ত ধরে বক্সে ঢুকে ছয় গজ দূরত্ব থেকে কোণাকুণির জোরালো শটে জাল কাঁপান ব্রাজিলিয়ান তরুণ।

৬২তম মিনিটে রবার্ট লেভানদোভস্কি ও ফের্মিন লোপেসের জায়গায় রাফিনিয়া ও আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনকে নামালেও কোনো লাভ হয়নি বার্সার। এর ১০ মিনিট পর চেলসির ব্যবধান ৩-০ করেন ডেলাপ। বক্সে এনজোর পাস পেয়ে পা বাড়িয়ে জাল খুঁজে নেন তিনি। শুরুতে লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে পাল্টায় সিদ্ধান্ত।

ম্যাচের বাকি সময়ে কোনো দলই আর গোলের দেখা পায়নি। তাতে দারুণ এক জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে চেলসি। পাঁচ ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পাঁচে অবস্থান করছে তারা। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় হারে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ১৫ নম্বরে নেমে গেছে বার্সা।