এবছরে উৎপাদিত রেণুর পরিমান প্রত্যাশা ছাড়িয়েছে

হালদা নদী থেকে ২০১৯ সালে সংগৃহীত ডিম থেকে রেণু উৎপাদন বেড়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মৎস্য অধিদপ্তর, বিএফআরআই, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত কমিটির প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রেণু উৎপাদনের (চতুর্থ দিন বা ৯৬ ঘণ্টা পর) পরিমাণ প্রায় ২০০ কেজি।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণী বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও হালদা গবেষক ড. মনজুরুল কিবরিয়া জানান  গত ২৫ মে রাতে হালদা নদীতে রুই জাতীয় মাছ ডিম ছাড়ে। এবছর সংগ্রহীত ডিমের পরিমাণ ছিল প্রায় ৭০০০ কেজি। এ পরিমাণ ডিম থেকে আমাদের বিগত সময়ের প্রচলিত ডাটা সংগ্রহ পদ্ধতিতে প্রত্যাশা ছিল প্রায় ১১৭ কেজি রেণু উৎপাদনের। কিন্তু অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, এবছরে উৎপাদিত রেণুর পরিমাণ আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক মৎস্য অধিদপ্তর, বিএফআরআই, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত কমিটির প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী রেণু উৎপাদনের (চতুর্থ দিন বা ৯৬ ঘণ্টা পর) পরিমাণ প্রায় ২০০ কেজি। এই বাড়তি উৎপাদনের প্রকৃত কারণ বিগত সময়ে হাটহাজারী উপজেলার চারটি হ্যাচারি গুলোর (প্রায় ৬৬%) সিস্টার্ন অকেজো ও ত্রুটিপূর্ণ ছিল। এবছর হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় সব গুলো হ্যাচারি পুণঃসংস্কার করা হয়, বিদ্যুৎ লাইনসহ সব ধরণের ত্রুটি মুক্ত করে সচল করা হয়। অন্যদিকে স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীদের ট্র্যাডিশনাল মাটির কুয়াগুলো বিগত কয়েকবছর আগে প্রায় বিলুপ্ত হতে যাচ্ছিল। বেসরকারি সংস্থা পিকেএসএফ- আইডিএফের সহযোগিতায় হালদার ঐতিহ্য ধরে রাখার স্বার্থে এবছর ১৪১টি মাটির কুয়া সচল করা হয়। তাদেরকে প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। এবছরই প্রথমবারের মত হ্যাচারির প্রায় সবগুলো (হাটহাজারী অংশের ১০০%) সিমেন্ট সিস্টার্ন ও উভয় পাড়ের (রাউজান ও হাটহাজারী) প্রায় ১০০% মাটির কুয়া সচল করা সম্ভব হয়। কয়েকটি কুয়ায় (১০%) অতিরিক্ত তাপদাহ এবং প্রয়োজনীয় রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে আংশিক রেণু মারা যায়। ফলে সংগৃহীত ডিম থেকে প্রত্যাশার চেয়েও বেশী রেণু উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে আমরা হালদা রিভার রিসার্চ ল্যাবরেটরির পক্ষ থেকে ডিম সংগ্রহ ও রেণু উৎপাদনের রাউন্ড ফিগার প্রকাশ করা হয়। কিছু সরকারী বিধি বিধানের কারণে ভগ্নাংশসহ মোট পরিমাণ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করা হবে।