পুলিশের হাতে আরটিভির ক্যামেরাপার্সন লাঞ্ছিত

চট্টগ্রাম নগরের পাথরঘাটা এলাকায় পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন আরটিভি চট্টগ্রাম অফিসের ক্যামেরাপার্সন ইমরান হোসেন (ইমু খান)। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে পাথরঘাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ইমু পাথরঘাটা এলাকার ওয়াবদা কলোনি এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকেন।
এ ব্যাপারে ইমু খান বলেন, পাথরঘাটা ব্রিকফিল্ড রোড ওয়াবদা কলোনিতে খেলা নিয়ে মারামারি হলে কোতোয়ালি ঘানা থেকে তিন গাড়ী পুলিশ আসে। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাওয়ার পথে আমার ছেলের দোকানের জিনিসপত্র লাঠি দ্বারা আঘাত করে ফেলে দেয়। ছেলের দোকানের মালামালগুলো কেন ফেলে দেয়া হয়েছে জিজ্ঞেস করতে গেলে পুলিশের এক সদস্য আমাকে লাথি মারে। আমাকে মারার পাশাপাশি আমার ছেলেকেও আগাত করে পুলিশ। এসময় ছেলে আমার গায়ে পড়লে মাথায় ভীষণ ব্যথা পাই।

তিনি বলেন, এ ঘটনা আমি ভিডিও করার সময় আমার হাত থেকে মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে, আমি সংবাদকর্মী পরিচয় দেয়ার পরেও তারা আমার মোবাইল নিয়ে টানা-হেচড়া করে। পরবর্তীকালে পুলিশ কর্মীরা সবাই এসে আমাকে বলেন, এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমার ছেলেকে লাথি দিয়েছে এ কথা অস্বীকার করে।

এ বিষয়ে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ২ টার দিকে (১০ ডিসেম্বর) কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বলেন, এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয়। দোকানে কেন হাত দিল? বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি। আপনি (প্রতিবেদক) আগামীকাল বেলা ১২ টার দিকে থানায় আসেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলব।