গোসলের পর চুল মোছার ওপর নির্ভর করে আপনার চুলের স্বাস্থ্য

দেশের আবহাওয়ার বর্তমান যে অবস্থা, তাতে চুল সুস্থ রাখাটাই বেশ কষ্টকর। এজন্য চুলের যত্নে নানা কিছু করে থাকি আমরা। কিন্তু জানেন কি, গোসলের পর চুল মোছার ওপর নির্ভর করে আপনার চুলের স্বাস্থ্য। জেনে নিন কিছু সহজ টিপস।

যা করবেন না

ব্লো ড্রাই বা ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকাবেন না। এর থেকে তোয়ালে দিয়ে চুল শুকানো অনেক ভালো। শীতে অনেকেই ঠান্ডার সমস্যায় ভোগেন। তাই দ্রুত চুল শুকিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার করেন ড্রায়ার। এই হিটে চুলের অনেক ক্ষতি হয়। ড্রায়ারের হিটে চুলের আর্দ্রতা চলে যায়। ফলে চুল হয় রুক্ষ। সহজেই চুল পড়ে যেতে থাকে।

যা করতে হবে

চুল ভালো রাখতে তোয়ালের পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। চুল মোছার তোয়ালে সপ্তাহে অন্তত এক দিন অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে ধুয়ে কড়া রোদে ভালোভাবে শুকিয়ে ব্যবহার করতে হবে। কখনই চুল মুছতে ভেজা তোয়ালে ব্যবহার করা যাবে না। এতে মাথার ত্বকে ছত্রাকের সংক্রমণ হতে পারে।
চুল মুছতে ছোট সাইজের তোয়ালে নিন। বড় তোয়ালে আপনার সব চুল একেবারে ঢেকে নিতে পারে। কিন্তু বড় তোয়ালের ভার চুলের থেকে বেশি। তাই বড় তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলে চুল বেশি পড়বে। ছোট তোয়ালে দিয়ে অল্প অল্প করে চুলের খানিক অংশ মুছুন। এতে চুল ভালো থাকবে।
তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে ঘষে মুছলেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেজা চুল অনেক ভঙ্গুর হয়। ভেজা অবস্থায় চুলের গোড়া নরম থাকে। জোরে জোরে ঘষে মুছলে চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। চুল তোয়ালে দিয়ে মুছতে হলে সব সময় প্রেস করবেন আস্তে আস্তে। প্রেস করা মানে যাকে আমরা বলি চেপে চেপে মোছা। এভাবে তোয়ালে দিয়ে চুল মুছলে চুলের আর তোয়ালের ঘর্ষণ কম হয়। চুল ভালো থাকে।
তোয়ালে কী দিয়ে তৈরি, সেটাও কিন্তু বেশ গুরুত্বপূর্ণ। চুলের জন্য মাইক্রোফাইবার তোয়ালে সবচেয়ে ভালো। এটা চুলের থেকে অনেক নরম। এ ফাইবার চুলের থেকে সব ময়েশ্চার অতি সহজেই টেনে নেয়। আর যেহেতু এটি খুবই নরম, তাই চুল মুছতে গিয়ে এর আঘাতে চুল পড়ে বা ভেঙে যাবে না। এরপর ব্যবহার করতে পারেন সুতার তোয়ালে। চুলের জন্য এটিও খুব ভালো।
অনেকেই ভেজা চুল দীর্ঘক্ষণ তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে শুকান, যা একেবারেই অনুচিত। এভাবে চুল শুকালে স্থায়ী টাক হওয়ার শঙ্কা থাকে। আবার অনেকেই তোয়ালে বা গামছা দিয়ে চুল ঝেড়ে থাকেন। এটা করাও চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আবার একজনের তোয়ালে অন্যজনের ব্যবহার করাও ঠিক নয়। এতে একজনের মাথার খুশকি বা ফাঙ্গাস অন্যজনের মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে।
চুল শরীরের খুবই সংবেদনশীল অংশ। তাই এর যত্নও করা উচিত সেভাবেই। কারণ, একবার চুল নষ্ট হয়ে গেলে সেটা আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া কঠিন।