দুর্বল হচ্ছে মঙ্গলের ধুলোঝড়

ঋতু পরিবর্তন হচ্ছে মঙ্গলগ্রহে। ফলে সেখানে চলমান বড় মাপের একটি ধুলোঝড় দুর্বল হয়ে এসেছে। এই ধুলোঝড়ের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার একটি ল্যান্ডার চূড়ান্ত দফায় অবতরণ করতে পারেনি। সেপ্টেম্বরে নাসার এই মহাকাশ যান মার্স রিকনেসাস অরবিটার লাল গ্রহের বিষয়ে একটি এলার্ম পাঠায়। তাতে বলা হয় বড় রকমের এক ধুলোঝড় সৃষ্টি হচ্ছে মঙ্গলে। এই ঝড় বয়ে যায় গ্রহটির পুরো অংশে। ফলে নাসা নতুন আরেকটি সৌরশক্তি চালিত অপর্চুনিটি মিশন পাঠায়।

এর নাম ইনসাইট ল্যান্ডার। কয়েক সপ্তাহের জন্য ইনসাইটকে শান্তিতে থাকতে দিয়েছিল এই ঝড়। কিন্তু অক্টোবরের শুরুর দিকে ধুলোবালি এর ওপর গাঢ় আবরণ সৃষ্টি করে। ফলে এর সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানীরা তাদের এই মিশন নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন।

কারণ, এই মিশনও বুঝি বিফলে যায়! কিন্তু এখন এটা পরিষ্কার যে, যদিও ইনসাইট মিশনের ইতি ঘটেছে বলে মনে হচ্ছে তবু এই ল্যান্ডার ওই ঝড়ের ভয়াবহতার শিকার হয়েছে। এর ওপর থেকে ধুলোবালি সরে যেতে শুরু করেছে। এমনটা বিশ্বাস করেন এইলিস রিসার্সের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকারী বিজ্ঞানী ক্লেয়ার নিউম্যান।
বিজ্ঞানীরা এখনও মঙ্গলগ্রহের আবহাওয়া বোঝার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন, বিশেষ করে এর ধুলোঝড়ের বিষয়ে তারা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন নিউম্যান। বলা হচ্ছে, ছোটখাট একটি স্থানীয় পর্যায়ের ধুলোঝড় এক বছর ধরে চলতে পারে। দক্ষিণ গোলার্ধে যখন গ্রীষ্মের শেষ হয়ে আসে তখন বড় মাপের ধুলোঝড় সেখানে সাধারণত দেখা যায়। ফলে ইনসাইট যে ধুলোঝড়ের মধ্যে পড়েছে, সেটা অস্বাভাবিকতার বাইরে নয়। নিউম্যান বলেন, বছরের বিভিন্ন সময়ে আমরা যেমনটা দেখে আসছি এই ধুলোঝড় তেমনই একটি।

আমরা আশা করছি, এটা আঞ্চলিকতায় পর্যবসিত হয়ে এর শেষ হবে।
ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঝড়েরও গতিপ্রকৃতি পরিবর্তন হয়। কারণ, মঙ্গলের তাপমাত্রার তারতম্যের কারণে এমন ঝড় হয়। এতে উত্তপ্ত পৃষ্ঠের ধুলোবালিকে বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে মঙ্গলের আবহাওয়া মন্ডলে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে করে ঘন ও কালো। অরবিটারগুলো ছবি এবং তাপমাত্রার ডাটা বিশ্লেষণ করে ঝড়ের পূর্বাভাস দেয়। আবার মঙ্গলের পৃষ্ঠের ধুলোবালিও সতর্কতা দেয়।