পদ্মাসেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য ভ্রমণতরী

পদ্মাসেতুর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য মাদারীপুরের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে চারটি ভ্রমণতরী উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) সকালে পদ্মাসেতুর শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে এ ভ্রমণতরীর উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী।

চিফ হুইপ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে পদ্মাসেতুকে ঘিরে পর্যটন খাতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এ অঞ্চলের পর্যটন উপভোগ করতে দেশের সব এলাকা থেকে যেন মানুষ শিবচরে আসেন সেই ব্যবস্থা করা হবে। শিবচরের পদ্মার ঘাট এলাকায় কর্মরত লঞ্চ, স্পিডবোট, হোটেল ব্যবসাসহ নানান খাতে কর্মরতদের পদ্মাসেতুর পর্যটনে সম্পৃক্ত করা হবে। যাতে করে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়।

এছাড়াও ইতোমধ্যে শিবচরের চরাঞ্চলে ১২শ একর জায়গায় দুগ্ধ খামারের কাজ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধায়নে শুরু করেছে। এতে একসঙ্গে কর্মসংস্থান ও পর্যটনের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

চিফ হুইপ আরো বলেন, যেভাবে বাংলাদেশে মৌলবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে ও ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শুরু হয়েছে তা রুখতে বিনোদন, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে নেশা থেকে মুক্ত রাখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে এ ধরনের কর্মকাণ্ডগুলো আমাদের হাতে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তার মানবিকতার প্রমাণ দিয়েছেন। শুধু আশ্রয় দিয়েই নয় তিনি ভাষানচরে এসব রোহিঙ্গা মুসলিমদের জন্য আধুনিক জীবনযাপনেরও ব্যবস্থা করেছেন।

সোমবার সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চারটি ভ্রমণতরী পদ্মা নদীতে নামানো হয়। লাল সবুজ রংয়ের সুদৃশ্য ভ্রমণতরীগুলো উদ্বোধনের পর এগুলোতে চড়ে চিফ হুইপসহ নেতা ও কর্মকর্তারা পদ্মা নদীতে ঘোরেন। জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানান চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী।

মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোল্লা, পৌর মেয়র আওলাদ হোসেন খান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. শাজাহান মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. সেলিমসহ অন্যরা।