আবেদনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহ ভিসা, মেয়াদ ৩ মাস

আবেদনের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহ ভিসা দেবে সৌদি আরব। সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী ড. তাওফিক আল রাবিয়াহ বিদেশী হজযাত্রীদের নতুন নীতিমালার আলোকে অনলাইন ওমরাহ ভিসা সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে নতুন ওমরাহ ভিসার বিভিন্ন দিক ও সুবিধা মিডিয়ার সামনে তুলে ধরেন। তিনি জানান যে, নতুন ওমরাহ হজ নীতিমালার আলোকে এখন থেকে বিদেশী ওমরাহ যাত্রীরা নিজে নিজেই অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভিসা ইস্যু হয়ে যাবে।।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২ জুন) জর্দানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি।

সৌদি গেজেটের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ বৃহস্পতিবার সৌদি আরবের বাইরে থেকে ওমরাহ পালন করতে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য একটি ইলেকট্রনিক পরিষেবা চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন। মূলত আগ্রহী মুসল্লিদের ওমরাহ ভিসার আবেদনের জন্য এই ইলেকট্রনিক পরিষেবা চালুর ঘোষণা দেওয়া হয়।

সেখানে সৌদির হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহর জন্য ভিজিট ভিসা ইস্যু করা হবে।’ ওমরাহ ভিসার মেয়াদ (এক মাসের পরিবর্তে) হবে ৩ মাস।

ড. তৌফিক আল-রাবিয়াহ আরও বলেন, ওমরাহ ভিসার জন্য আবেদনপত্র সৌদি আরবের বাইরে থেকে ব্যক্তিগতভাবে সাবমিট করা যাবে। তার ভাষায়, সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য হচ্ছে, বৃহত্তর সংখ্যায় ওমরাহ পালনে ইচ্ছুক মুসল্লিদের জন্য সৌদিতে অভ্যর্থনা সহজতর করা।

এদিকে সৌদি আরবের সংবাদপত্র ওকাজ’র বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-রাবিয়াহ বলেছেন, ওমরাহ পালনের জন্য ভিজিট ভিসার মেয়াদ এখন থেকে এক মাসের পরিবর্তে ৩ মাস মেয়াদে দেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেছেন, ওমরাহ পালন করতে সৌদি আরবে আসা সব মুসল্লি কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই সৌদি আরবের যেকোনো অঞ্চলে যাতায়াত বা ভ্রমণ করতে পারবেন।

হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, চলতি বছর ১০ লাখ মানুষ পবিত্র হজ পালন করবেন। বিপুলসংখ্যক এই হাজিদের মধ্যে ৮৫ শতাংশ বা ৮ লাখ ৫০ হাজার মুসল্লি বিদেশি এবং ১৫ শতাংশ বা ১ লাখ ৫০ হাজার মুসল্লি সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ হাজি।

তিনি আরও বলেন, হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থা কাজ করছে। চলতি বছর হজ স্মার্ট কার্ড বাস্তবায়িত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল এই প্রযুক্তি চলতি বছরের হজকে আরও নিখুঁতভাবে আয়োজন করতে সহায়তা করবে।