মোঃ নজরুল ইসলাম লাভলু, কাপ্তাই(রাঙামাটি)।
কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলী বন রেঞ্জের ফ্রিংখিংয় বিটে বন্যহাতির দল হামলা চালিয়ে অফিস ভাংচুর করেছে। বনকর্মীরা প্রাণ বাঁচাতে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে নিরাপদে সরে আসে। আবার অনেকে টয়লেটে আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করতে সক্ষম হয়। বনের ভিতর ফ্রিংখিংয় বিটের বনকর্মীরা যখন শবে বরাতের নামাজরত তখন পিছন থেকে ১১টি বন্যহাতির একটি দল অফিসে এসে প্রায় ৪০মিনিট তান্ডব চালায়। বন্যহাতির দল হামলা চালিয়ে অফিস ঘরের আসবাবপত্র, বনকর্মীদের চাল, ডাল, ভাত, পানির টাংক, বিদ্যুৎতের তারসহ সকল কিছু ভাংচুর করে। একপর্যায়ে অফিসের বনকর্মীরা নিজের প্রাণ বাঁচাতে টয়লেটের ভিতর আশ্রয় নেয়। অফিসের পার্শ্ববর্তী লোকজন হাতির তান্ডবের খবর পেয়ে কর্ণফুলী সদর রেঞ্জে বন বিভাগের লোকজনকে সংবাদ দেয়। দ্রুত তারা এসে বনকর্মীদের রক্ষা করার জন্য ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এসময় হাতির দল পিছু হটলে টয়লেটে আশ্রয় নেয়া ৫ জন বনকর্মীকে উদ্ধার করে। বনকর্মী ফিরোজ শাহ মানিক জানায়, আমরা সকলে রাতে শবেবরাতের নামাজ পড়ার সময় হাতির দল পিছন দিয়ে আসে। প্রথমে ধারণা করেছি গরু এসেছে। পরে দেখি ১১টি হাতির একটি দল। হাতি গুলিকে বলি, মামা আমরা সরকারি লোক তোমরা চলে যাও।আমাদের ক্ষতি করো না। এক পর্যায়ে হাতির দলটি চলে গিয়ে পুনরায় দলবেঁধে রাত ১১টায় এসে অফিসে হামলা চালিয়ে সবকিছু ভাংচুর করে। এতে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়। রাঙামাটি
দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী রেঞ্জের রেঞ্জার মো.মনিরুল ইসলাম জানান, আমরা রাতে খবর পেয়ে দ্রুত ফ্রিংখিংয় বিটে ছুটে গিয়ে ১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে বনকর্মীদের প্রাণে রক্ষা করি। আবার এসে হামলা চালাতে পারে সন্দেহে পার্শ্ববর্তী কর্ণফুলী নদীতে ইঞ্জিন চালিত বোটে বনকর্মীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে দেয়া হয়। ওইদিন ভোর প্রায় ৪টায় পুনরায় বন্যহাতির দলটি অফিসে হামলা চালায়। এসময় অফিসের রান্না করার চুলা সহ সকল কিছু ভেঙ্গে চলে যায়। বর্তমানে বনকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে তিনি জানান। তিনি আরও জানায়, বনের ভিতর খাদ্য না পাওয়ায় বন অফিসে অথবা লোকালয়ে এসে হাতির দল হামলা চালায়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে চিৎমরম মুসলিম পাড়ার চাষিদের কয়েক লাখ টাকার কলাগাছ সহ ফসলি জমির ক্ষতি সাধন করেছে একদল বন্য হাতি।