নিজস্ব প্রতিবেদক:: ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ১৫ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটে চট্টগ্রাম বন্দরে নেমে এসছে নিরবতা, স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের সমুদ্রবন্দরের পণ্য ডেলিভারি কার্যক্রম। বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালেও ধর্মঘট চলতে দেখা গেছে। এ কারণে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে আমদানিকারক, তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট, শিপিং এজেন্টসহ বন্দর ব্যবহারকারীদের মধ্যে।

১৫ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের অগ্রিম আয়কর নেওয়া যাবে না এবং এ পর্যন্ত নেওয়া অগ্রিম আয়কর ফেরত দিতে হবে। ১০ বছর ধরে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান চালকদের লাইসেন্স দেয়া বন্ধ রয়েছে, অবিলম্বে লাইসেন্স দেয়া চালু করতে হবে ইত্যাদি।

জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রাইম মুভার ঢুকতে পারেনি বন্দরে। মালিক শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বন্দরের ভেতরে থাকা বেশিরভাগ প্রাইম মুভারও অলস বসে রয়েছে। ফলে বন্দরের এনসিটি, সিসিটি ও জিসিবির জেটি ও ইয়ার্ডে লোড-আনলোডে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

পরিবহন মালিক শ্রমিকরা জানান, বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সেখানে দাবি মানা হলে ধর্মঘট স্থগিত করা হবে। নয়তো পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘট চলবে। বন্দরের প্রবেশমুখ খ্যাত নিমতলা মোড়, সল্টগোলাসহ বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধের লক্ষ্যে অবস্থান করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

ডিপো মালিকদের সংগঠন বিকডা’র সচিব রুহুল আমিন সিকদার জানান, ১৯টি অফডকে ৭৮ হাজার ৭০০ কনটেইনার ধারণ ক্ষমতার বিপরীতে এখন আছে ৯ হাজার ৭০০ রপ্তানি পণ্যভর্তি, ৮ হাজার ৩০০ আমদানি পণ্যভর্তি ও ৩৩ হাজার খালি কনটেইনার। ধর্মঘটের কারণে ডিপো থেকে কারখানা বা বন্দরে কনটেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম প্রাইম মুভার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মাইনুদ্দিন জানান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ১৫ দফা দাবিতে ৭২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। আমরা তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে পরিবহন বন্ধ রেখেছি।