ক’দিন আগেই কেটেছেন ৬০তম জন্মদিনের কেক। অসুস্থতার মাঝেও জন্মদিন পালন করতে ক্লাব জিমনাসিয়ায় এসেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। সোমবার শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ায় হাসপাতালে নেয়া হয় ১৯৮৬ বিশ্বকাপের নায়ককে। তবে ম্যারাডোনার অবস্থা গুরুতর নয় বলে আশ্বস্ত করেছেন চিকিৎসক লিপোলদো কুক। তিনি বলেন, ‘কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ম্যারাডোনাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। জটিল কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। এ ছাড়া আমরা জরুরি ভিত্তিতেও হাসপাতালে আসিনি। তাকে অন্তত তিন দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
মানসিকভাবেও ভালো নেই তিনি। আর এটা তার শরীরে প্রভাব ফেলেছে।’
তবে ম্যারাডোনার বর্তমান শারীরিক জটিলতার সঙ্গে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত কি-না এ ব্যাপারেও কিছু জানাননি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক। মাত্রাতিরিক্ত মদ্যপান ও অগোছালো জীবনযাপনের অতীত, স্থূলতা এবং বয়স বিবেচনায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।
ম্যারাডোনার জন্য শারীরিক অসুস্থতা বিরল কিছু নয়। ২০০৪ সালে ড্রাগ সমস্যার কারণে একবার প্রায় সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে গিয়েছিলেন। ২০০৭ সালে তাকে আবার ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। ফুসফুস ও হৃদপিন্ডের সমস্যায় ভুগছিলেন অনেক আগে থেকে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা যায়, গত বছর আবার যেতে হয়েছিল হাসপাতালে।