পার্বত্য অঞ্চল, তুষারাচ্ছন্ন , ঘণ অরণ্য যেটাই হোক না কেন প্রাকৃতিক পরিবেশের বৈশিষ্ট্যগুলো আরও স্পষ্ট করতে গুগল ম্যাপকে নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।
গুগল বলছে, তাদের পুনবিন্যাস করা ম্যাপটি বিশ্বের ২২০ দেশ ও অঞ্চলে পাওয়া যাবে। এটি বড় মেট্রোপলিটন এলাকা কিংবা ছোট গ্রাম সবখানেই পাওয়া যাবে।
গুগলের ভাষ্যমতে, নতুন ম্যাপে নির্দিষ্ট শহরগুলোর আরও ডিটেইলস পাওয়া যাবে।
নতুন ম্যাপে স্যাটেলাইট চিত্রগুলোকে মানচিত্রের সঙ্গে মিলিয়ে নতুন ডিজাইনে আনা হয়েছে। এর রঙ আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এতে প্রয়োগ করা হয়েছে নতুন কালার ম্যাপিং অ্যালগরিদম। এতে যে সর্বশেষ ফলাফল দেখানো হবে তা হবে আগের চেয়ে অনেক ভিন্ন।
এতে যে প্রাকৃতিক ফিচার যুক্ত করা হয়েছে তা প্রত্যেকটির স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বহন করবে। এখানে বরফচূড়া, ঘণ অরণ্য, সবুজ মাঠ এবং বালুকাময় সৈকত নতুনরূপে ফুটে উঠবে বলে জানাচ্ছে গুগল।
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের নতুনত্বের পাশাপাশি গুগলে স্ট্রিট ম্যাপেও ডিটেইলস আসছে। আগে যেখানে সাধারণভাবে শুধু রাস্তা দেখাতো গুগল, নতুন বিন্যাসে সেখানে কোনটা রোডওয়ে, তার পাশে ওয়াক ওয়ে বা হাঁটার পথ থাকলে কিংবা ক্রস ওয়াক, পথচারীদের হাঁটার জায়গা বা পারাপারের জায়গা সবই দেখাবে।
এমনকি নতুন এই ডিজাইনে ম্যাপে যে রাস্তা দেখানো হবে তার প্রস্থ সম্পর্কেও জানা যাবে।
এমনকি নতুন ডিজাইনে জুমআউট করেও স্থান ভালো করে দেখে নেয়া যাবে।
পুনর্বিন্যাস করা এই ম্যাপ নিউ ইয়র্ক, সানফ্যান্সিসকো, লন্ডনে চলতি মাসেই উন্মোচন করা হচ্ছে। অন্যান্য শহরে খুব তাড়াতাড়িই এটি পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছে গুগল।