জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার প্রতিবাদে তুমুল বিক্ষোভের পর হোয়াইট হাউজের চারপাশে ব্যারিকেড দিলো ট্রাম্প প্রশাসন। আন্দোলনকারীদের দূরে রাখতে লম্বা সুরক্ষার বেড়া এবং কংক্রিটের ব্যারিকেট তৈরি করা হয়েছে। গুগল ম্যাপের মতে, হোয়াইট হাউসের চারপাশে নতুন বেড়াটি প্রায় ১.৭ মাইল জুড়ে প্রসারিত।
গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ হেফাজতে মারা যান জর্জ ফ্লয়েড নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবক। সেইদিনই পুলিশ তাকে আটক করেছিলো। এরপর হাঁটু দিয়ে জর্জের গলা চেপে ধরেন পুলিশ। এভাবে অন্তত আট মিনিট তাকে মাটিতে চেপে ধরে রাখা হয়।এক প্রত্যক্ষদর্শীর তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, জর্জ ফ্লয়েড নিঃশ্বাস না নিতে পেরে কাতরাচ্ছেন এবং বারবার একজন শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলছেন, ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না।’ এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় মুহূর্তেই। প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ থাকলেও ধীরে ধীরে তা সহিংসতায় রূপ নেয়।এই সহিংস আন্দোলন ঠেকাতে বিতর্কিত কার্যকলাপ শুরু করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আন্দোলনকারীদের ভয় কখনো বাঙ্কারে গিয়ে লুকিয়েছেন ট্রাম্প, আবার কখনো হিংস্র কুকুর এবং ভয়ঙ্কর অস্ত্র দিয়ে আন্দোলন দমানোর কথা শুনিয়েছেন তিনি। এছাড়াও আন্দোলন দমাতে ওয়াশিংটনে সেনাও নামান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওয়াশিংটন পোস্টের রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন সেন্ট জনস চার্চে যাওয়ার আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের লাফায়েট স্কয়ারকে সহিংসভাবে সড়িয়ে দেওয়ার জন্য টিয়ার গ্যাস এবং অন্যান্য অবৈধ শক্তি ব্যবহার করেছিল।
TRUMP BEGAN HIS TERM PROMISING TO BUILD A WALL TO PROTECT AMERICA FROM THE WORLD. HE ENDS IT BUILDING A WALL TO PROTECT HIMSELF FROM AMERICANS. PIC.TWITTER.COM/MZVFIBVOSG
— Nick Confessore (@nickconfessore) June 4, 2020
ইয়েল স্কুল অফ আর্কিটেকচারের ডিন দেবোরা বার্ক বলেছেন, ‘আমি মনে করি আপনার বাড়িটি আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজন- এবং এটি তার বাড়ি নয়; এটি আমাদের বাড়ি – দুর্বলতা দেখায়’। “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিকে তার নিজের নাগরিকদের দ্বারা হুমকিরোধ করা উচিত নয়।’
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা পোস্টকে জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের ডোনাল ট্রাম্পের ইচ্ছায় হোয়াইট হাউসের চারপাশে ব্যারিকেট দেওয়া হয়নি।