প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির হাজারী লেইনস্থ ভবনে ‘ইপসা-শিখা’ প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) সচেতনতা সেশন অনুষ্ঠিত হয় (০৩ ডিসেম্বর), বুধবার, বিকেল ৩টায়।

ব্র্যাক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে পরিচালিত এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো—শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, গণপরিবহন, কমিউনিটি ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মে লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা, যৌন হয়রানি ও বুলিং প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের জন্য টেকসই ব্যবস্থা তৈরি করা।
সম্প্রতি প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটি এবং ইপসা-র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ইপসা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ-সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে, যার মধ্যে রয়েছে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক উদ্যোগ। এই এমওইউ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই একটি ইনসেপশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে তারা কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমপ্লেইন্ট কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে সে-বিষয়ে ধারণা প্রদান করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী শিক্ষকদের জন্য মোট তিনটি সেশন আয়োজন করা হবে। প্রতিটি সেশনে ২০ জন শিক্ষক অংশগ্রহণ করবেন। প্রথম সেশনটি ৩ ডিসেম্বর হাজারী লেইনস্থ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এই ভবনে অবস্থিত চারটি বিভাগের ২১ জন শিক্ষক অংশ নেন। সেশনে এই ২১ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান অনুপ কুমার বিশ্বাস, আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং কমপ্লেইন্ট কমিটির আহবায়ক ড. মেহের নিগার।
সেশনে ‘ইপসা-শিখা’ প্রকল্পের ম্যানেজার তুষার কুমার রায় পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্পটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন। ব্র্যাক সোশ্যাল কমপ্লায়েন্সের সিনিয়র অপারেশন ম্যানেজার সৈয়দ আমিন আল আনাস সেশনটি পরিচালনা করেন এবং প্রকল্প কীভাবে লিঙ্গবৈষম্য নিরসনে গুণগত পরিবর্তন আনতে কাজ করে সে-বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদান করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে সচেতনতা, প্রতিরোধ এবং সহায়তা কাঠামোকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সেশনে বক্তারা বলেন, নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত অভিযোগ নিষ্পত্তি, সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং সহায়ক কাউন্সেলিং কাঠামো শক্তিশালী করা জরুরি। এই ক্ষেত্রে এ ধরনের সচেতনতামূলক সেশন হলে অংশগ্রহণকারীরা আচরণ, সমস্যা মোকাবিলা এবং রিপোর্টিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পায়। তাঁরা আরও উল্লেখ করেন, এ ধরনের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জ্ঞানের বিস্তৃতি শিক্ষার্থীদের জন্য উপকার বয়ে আনবে। এছাড়া নিয়মিত সচেতনতা, প্রেক্ষাপট বিবেচনা এবং সঠিক রিপোর্টিং প্রক্রিয়ার গুরুত্ব নিয়েও মত দেওয়া হয়।





