জনগণের প্রত্যাশিত বাংলাদেশ বিনির্মাণে আবারোও নেতৃত্ব দিবেন বেগম খালেদা জিয়া: আবু সুফিয়ান

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্র যখনই সংকটে পড়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বই বাংলাদেশকে মুক্ত করেছে। তিনি সারাজীবন দেশের কল্যাণ ও মানুষের অধিকার রক্ষায় সংগ্রাম করেছেন। গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে গিয়ে ফ্যাসিবাদের জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বৃদ্ধ বয়সেও কারাভোগ করেছেন। তবুও দেশের স্বার্থে কখনোও আপোষ করেননি। তাঁর অসুস্থতায় আজ সারাদেশের মানুষ চিন্তিত ও ব্যথিত। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে প্রিয়নেত্রীর সুস্থতায় দোয়া করছেন। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস মানুষের দোয়া ও ভালোবাসা নিয়ে প্রিয়নেত্রী আবারও সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। জনগণের প্রত্যাশিত সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে নেতৃত্ব দিবেন।

শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) বাদ জুমা ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ডস্থ বায়তুশ শরফ জামে মসজিদে বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় “দোয়া ও মিলাদ মাহফিল” শেষে সমবেত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। মিলাদ মাহফিলে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুশ শরফ দরবার শরিফের পীর হযরত মাওলানা আলহাজ্ব আব্দুল হাই নদভী সাহেব। এসময় আবু সুফিয়ান উপস্থিত মুসল্লিদের সাথে কুশলাদি বিনিময় করেন এবং দোয়া কামনা করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রতিশ্রুতির রাজনীতি করেনা, উন্নয়নের রাজনীতি করে। উন্নয়ন ও সেবার মাধ্যমে আমরা এদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। বিএনপি ক্ষমতায় থাকা কালে চট্টগ্রামে যথেষ্ট উন্নয়ন হয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবো, ইনশাল্লাহ। আমি আপনাদের দোয়া, ভালোবাসা ও সমর্থন নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। নির্বাচিত হলে আপনাদের মতামত ও পরামর্শে এলাকার অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করবো। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চট্টগ্রামকে একটি সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তুলবো।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির য্গ্মু আহবায়ক এস. এম সাইফুল আলম, নিয়াজ মোহাম্মদ খান, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সদস্য আনোয়ার হোসেন লিপু, ইসমাঈল বালি, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ২৩নং উত্তর পাঠানটুলী ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক এম এ হালিম, ১৮নং পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক হাজী মহিউদ্দিন, ১৯নং দক্ষিণ বাকলিয়া ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক আহবায়ক হাজী নবাব খান, ইসহাক চৌধুরী, নকীব উদ্দিন ভূইয়া, ইব্রাহিম বাচ্চু, ছগির আহম্মেদ, নুরুল আকতার সও., সাহেদ বক্স, সালাউদ্দিন কায়সার লাভু, মফিজউল্লাহ, মো. মহসিন, তৌহিদুস সালাম নিশাত, সাইফুদ্দিন রাশেদ চৌধুরী, সাব্বির আহমেদ,মো. সরোয়ার, আলমগীর আলী, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, নাজমুল হক নাজু, খালেদ সাইফুল্লাহ, মো. হাসনাত, রমজু মিয়া, এমদাদুল হক বাদশা, কামাল উদ্দিন দুলাল, গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া, এম এ হামিদ, মো. বকতেয়ার, আব্দুল আজিজ, গোলজার হোসেন প্রমুখ।