চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেছেন, বাংলাদেশের স্বৈরশাসন থেকে গণতন্ত্রের উত্তরণের লড়াই-সংগ্রামে যাঁর ভূমিকা অনস্বীকার্য, তিনি বেগম খালেদা জিয়া। জনগণের অধিকার রক্ষার তিনি এক অনমনীয় নেতৃত্বের প্রতীক। বাংলাদেশের রাজনীতিতে গণতন্ত্রের আলো জ্বালিয়ে রাখা তিনি এক অদম্য নেত্রী, যিনি গণমানুষের প্রত্যাশার বাতিঘর। স্বৈরাচার এরশাদের পতন ঘটিয়ে তিনি এদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন। দীর্ঘ ১৭ বছর গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। দেশ ও জনগণের স্বার্থে তিনি কখনোও কোন অপশক্তির সাথে আপস করেননি। দলের সীমা ছাড়িয়ে তিনি আজ জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।

শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) বাদ জুমা ১৫নং বাগমনিরাম ওয়ার্ডের দামপাড়া জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা মসজিদে বিএনপির চেয়ারপার্সন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী, আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় “দোয়া ও মিলাদ মাহফিল” এবং জামেয়াতুল ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার ছাত্রদের মাঝে “খাবার বিতরণ” কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, প্রিয়নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর সুস্থতা, এদেশের আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা প্রতিটি মানুষের প্রত্যাশা। দোয়া করি তিনি যেন আমাদের মাঝে ফিরে এসে আবারও গণতন্ত্র ও বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে পারেন। মহান আল্লাহ পাকের নিকট প্রার্থনা করি তিনি যেন বেগম খালেদা জিয়াকে সুস্থতা ও উত্তম হায়াত দান করেন।
আবু সুফিয়ান বলেন, গণতন্ত্র পুন:রুদ্ধার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বৃদ্ধ বয়সেও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ কর্তৃক নির্যাতিত ও নিপীড়িত হয়েছেন। মিথ্যা মামলায় জেল কেটেছেন, ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছেন। চিকিৎসকরা বার বার বলা স্বত্তেও সুচিকিৎসা থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ফ্যাসিস্ট খুনী হাসিনা পালিয়ে গেছে। মানুষ আওয়ামীলীগকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। বিপরীতে তারা বিএনপি তথা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের উপরে আস্থা রেখেছে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এদেশের সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির য্গ্মু আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন লিপু, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাঈল বালি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কায়সার লাবু, কোতোয়ালি থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, নুর হোসাইন, ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক সাইফুদ্দিন রাশেদ সিদ্দিকী, সদস্য সচিব সরোয়ার উদ্দিন। আরও বক্তব্য দেন শাহ আলম, মো. মামুন, মো. ইলিয়াছ, মো. মঞ্জু, শফিকুল ইসলাম খোকন, হেলাল চৌধুরী, হাজী মহিউদ্দিন, হাজী নবাব খান, নুরুল আজিম হিরু, এম. এ হামিদ, গিয়াসউদ্দিন ভূইয়া, খালেদ সাইফুল্লাহ, রমজু মিয়া, নাজমুল হক নাজু, মো.সেলিম, মনসুর আলম টিপু, কামাল উদ্দিন দুলাল, নজরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন আনু, সেকান্দর, বেলায়েত হোসেন, মো. বাবলু, মো. সাত্তার, মো. ইদ্রিস, মো. নজরুল, মহিউদ্দিন, মো. সোহাগ, মো. পল্লব, নুর আহমদ, মো. শফিক, ফজর আলী, শাহাজাহান মিন্টু, মো. আরিফ, রাজমোহন, নাদিম প্রমুখ।











