প্রায় আড়াই বছর পর নিজেদের ঘর ক্যাম্প ন্যুতে ফিরেছে বার্সেলোনা। শনিবার (২২ নভেম্বর০ সেই অপেক্ষার রাতটি রূপ নেয় উৎসবে। অ্যাথলেটিক বিলবাওকে ৪-০ গোলে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে যৌথভাবে উঠে গেছে তারা।
স্টেডিয়াম পুনর্গঠনের কাজ আগেই শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নির্মাণ কাজে দেরি ও নানা সমস্যায় বার্সেলোনাকে অপেক্ষা করতে হয় আরও এক বছর। প্রায় ৪৫ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতা নিয়ে এই ম্যাচ মাঠে গড়ায়। তিনটি খোলা স্ট্যান্ডের একটি আসনও অবিক্রিত থাকেনি। দাম ছিল অনেক বেশি, তবুও সমর্থকদের আগ্রহ কমেনি। ক্লাব আশা করছে, ২০২৬ সালে আরও আসন খুলবে এবং আগামী মৌসুমে পুরো ১,০৫,০০০ ক্ষমতা চালু হবে।

এই ম্যাচ ন্যু ক্যাম্পে ফেরা তো আছেই, কোচ হানসি ফ্লিকের জন্য আরও ভালো খবর ছিল, চোট কাটিয়ে গোলরক্ষক জোয়ান গার্সিয়া ফেরেন এই ম্যাচে, যিনি আগের নয়টি ম্যাচে খেলতে পারেননি। তিনি ফিরেই দলকে সেপ্টেম্বরের পর প্রথম ক্লিনশিট উপহার দেন। ম্যাচের শেষ দিকে ফিরে এসেছেন রাফিনিয়াও।
চতুর্থ মিনিটেই ক্যাম্প ন্যুর নতুন রূপে প্রথম গোলের দেখা পায় বার্সা। এরিক গার্সিয়ার বাড়ানো বল থেকে অধিনায়ক রবার্ট লেভান্ডভস্কি জোড়ালো নিচু শটে উনাই সিমনকে পরাস্ত করেন। সিমন বল হাতে লাগিয়েছিলেন, কিন্তু ঠেকাতে পারেননি। চোটে ভরা মৌসুমে এটি ছিল লেভার অষ্টম লিগ গোল।
১০তম মিনিটে সমর্থকেরা গাইতে থাকেন ‘লিওনেল মেসি’-র নাম। নতুন যুগ শুরুর মাঝেও পুরোনো গৌরব ভুলে যায়নি কেউ। অন্যদিকে নিকো উইলিয়ামসকে বার্সায় না আসার কারণে দর্শকেরা সুযোগ পেলেই দুয়ো দেন।
ফেরমিন লোপেজের একটি শট সেভ করেন সিমন, আর দানি অলমো মারেন লক্ষ্যের সামান্য বাইরে। প্রথমার্ধে মাঝেমাঝে চ্যালেঞ্জ তৈরি করলেও বিলবাও খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
বিরতির ঠিক আগে আসে দ্বিতীয় গোল। লামিন ইয়ামাল দুর্দান্তভাবে বাম পায়ের বাইরের অংশ দিয়ে পাস বাড়ান ফেরান তরেসের জন্য। তরেসের শটও সিমন ধরতে পারতেন, কিন্তু পারেননি। স্কোরলাইন হয় ২-০।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও অ্যাথলেটিকের অর্ধে আবারও হাই প্রেস করে বল জেতেন এরিক গার্সিয়া। তার পাস থেকেই লোপেজ চমৎকার ফিনিশে গোল করেন। এরপর হতাশায় আঘাত করে বসেন ওইহান সানচেত। লোপেজকে ফাউল করার জন্য ভিএআর দেখে তাকে লাল কার্ড দেখানো হয়।
জোয়ান গার্সিয়া দানি ভিভিয়ানের একটি হেড দুর্দান্তভাবে ঠেকান। এর পর ফ্লিক নামান রাফিনিয়াকে। তিনি নেমেই একটি শট নেন, যা পোস্টের বাইরে যায়।
ম্যাচের শেষ গোলটির যোগান আবার আসে ইয়ামালের পা থেকে। তিনি তরেসকে দারুণ পাস বাড়ান। তরেস ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান এবং নিজের দ্বিতীয় গোল পূরণ করেন। তাতে ঘরে ফেরার আনন্দের সঙ্গে ৪ গোলের তৃপ্তিও।











