‘নির্বাচন না দিয়ে তালবাহানা করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে’। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন না দিয়ে সংস্কারের নামে তালবাহানা করায় বিএনপি নেতাকর্মীদের আবারও মাঠে নামতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এড. আহমেদ আজম খান।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আনোয়ারা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির জনসমাবেশে প্রধাণ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাসিনা সরকারের পতনের পর বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে চলে গেছে। কিন্তু আজ আবার মাঠে নামতে হচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন না দিয়ে সংস্কারের নামে তালবাহানা শুরু করেছে। আর কোনো তালবাহানা নয় যদি সংস্কারের নামে তালবাহানা করা হয় তাহলে দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়া হবে। এসময় ৫ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করার আহবান জানান তিনি।
এ সময় সরকারের ভেতরে-বাইরের ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যেমন বলতো আগে উন্নয়ন তারপর গণতন্ত্র ঠিক এখন ষড়যন্ত্রকারীরা বলছেন আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন৷ এসময় তিনি ষড়যন্ত্রকারীদের ৫ আগষ্টের হাসিনা সরকারের পতন থেকে শিক্ষা নিতে বলেন
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমাদের আগামীর প্রতিপক্ষ সাংঘাতিক সুশৃঙ্খল। তাই আপনাদেরও সুশৃঙ্খল হতে হবে। নিজেদের গা ভাসিয়ে দিলে হবে না। সুশৃঙ্খলতার মাধ্যমে মানুষের কাছে ভোট ভিক্ষা করুন কারণ মানুষের সন্তুষ্টি আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়ার একমাত্র নিয়ামক হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, সংস্কার সংস্কার করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করা যাবে না। বাংলাদেশের জনগণ আগে সংসদ নির্বাচন চাই। ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। যতদিন জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হয় ততদিন বিএনপি রাজপথে আছে থাকবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ (ভিপি হারুন) বলেন, পতিত সরকারের দোসররা কোথাও নেই, তারা কখনো ফিরে আসবে না, অভ্যুত্থানে যাদের পতন হয় তারা আর দাঁড়াতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ও কর্মদক্ষতাকে ভয় পায়। তারা ভয় পাই ভোট দিলে তারেক রহমানকে আটকাতে পারবে না। ইলেকশন দ্রুত দেন, না হলে কিভাবে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করাতে হয় তা বিএনপির জানা আছে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহজাহান জুয়েল, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পাসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন।