দেশের জ্বালানি খাত দুষ্টু চক্রের জালে আটকা পড়েছে মন্তব্য করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এখান থেকে বের হতে দরকার মধ্যমেয়াদি চুক্তি বাতিল ও কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে আসা।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে জ্বালানি বিষয়ক নেটওয়ার্ক জেটনেট-বিডির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সংকট উত্তরণে ১৪ পরামর্শ তুলে ধরেন অংশগ্রহণকারীরা।
দুই দশকে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৭ম। সারাবিশ্বে যেখানে তামপাত্রা কমাতে জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের তাগিদ দেয়া হচ্ছে, সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বেশি ক্ষতিকারক পদ্ধতিই বেছে নেয়া হয়েছে দেশে। আমদানি করা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচের পাশাপাশি বাড়ছে পরিবেশের ঝুঁকি।
এ অবস্থা থেকে উত্তরণে জাতীয় জ্বালানি রূপান্তর নীতিমালা প্রণয়নসহ ১৪টি পরামর্শ তুলে ধরেছে জেটনেট বিডি। জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
তারা বলেন, মধ্যমেয়াদি যেসব চুক্তি শেষ হয়ে যাবে, সেগুলো যেন নতুন করে চুক্তি না করা হয়। মানুষের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়, আর সেই বিদ্যুতের কারণে মানুষ অসুস্থ হলে, নদী-গাছপালা ধ্বংস হলে, তবে তো সেই বিদ্যুৎ দরকার নেই! ক্লিনার এনার্জি নিশ্চিত করতে না পারলে বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করা যাবে না।
উন্নত বিশ্বে জ্বালানির গড় মাথাপিছু ব্যবহার ৩ হাজার মেগাওয়াট হলেও বাংলাদেশে সাড়ে ৪০০ মেগাওয়াট। এ ব্যবহার ধীরে ধীরে বাড়বে। তাই এখন থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো, যন্ত্র আমদানিতেও শুল্ক বাধা দূর করার পরামর্শ তাদের।
৭০টির বেশি নাগরিক সংগঠন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবিদ এবং গণমাধ্যম প্রতিনিধির সমন্বয়ে জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ নামের নতুন প্রতিষ্ঠানটি দেশের জ্বালানি খাত নিয়ে কাজ করবে।