কক্সবাজারের টেকনাফে এবার ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবায় অভিযুক্ত এক জনপ্রতিনিধি নিহত হয়েছেন। সোমবার বিকাল ৪টায় আটক করা সেই জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে মাঝরাতে ইয়াবা উদ্ধারে গেলে বন্দুকযুদ্ধে তিনি মারা যান বলে দাবি করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। এসময় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন বলে উল্লেখ করেন ওসি। ঘটনাস্থল থেকে ৪টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ, ২১ রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।
নিহত মোহাম্মদ হামিদ প্রকাশ হামিদ মেম্বার ওরফে হামিদ ডাকাত (৪৫) টেকনাফ সদর ইউপির মহেশখালীয়াপাড়ার মৃত আবুল হাসিম প্রকাশ হাশেমের ছেলে ও সদর ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য। তার বিরুদ্ধে মাদকসহ নানা অপরাধে ডজনাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, সোমবার বিকাল ৪টার দিকে এসআই সুজিত চন্দ্র দে ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে বহু মামলার পলাতক আসামি এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী হামিদ মেম্বারকে (৪৫) মহেষখালীয়াপাড়া বাজার হইতে গ্রেফতার করেন। তাকে থানায় এনে ইয়াবা বিষয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি জানান, টেকনাফ সদর ইউপিস্থ মহেষখালীয়াপাড়া নৌকা ঘাট এলাকায় ইয়াবা মজুদ রাখা আছে। তাৎক্ষণিক আমার নেতৃত্বে অতিরিক্ত অফিসার ফোর্সসহ হামিদ মেম্বারকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টায় ইয়াবা উদ্ধারের জন্য ঘাটে যাই। সেখানে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তার অপরাপর সহযোগী অস্ত্রধারী ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে ঘটনাস্থলে এসআই স্বপন চন্দ্র দাশ, এএসআই কাজী সাইফ উদ্দিন, কনস্টেবল রয়েল বডুয়া আহত হয়।
ওসি আরো জানান, আমার নির্দেশে নিজেদের জীবন সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে পুলিশ ৫০ রাউন্ড গুলি করে। এক পর্যায়ে হামিদ মেম্বার প্রকাশ হামিদ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি করে ৪টি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), ১৭ রাউন্ড শটগানের তাজা কার্তুজ, ২১রাউন্ড কার্তুজের খোসা এবং ৬ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়।
গুরুতর আহত গুলিবিদ্ধ হামিদ মেম্বারকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, থানা রেকর্ড পত্র সিডিএমএস পর্যালোচনা করে মো. হামিদ ওরফে হামিদ মেম্বার ওরফে হামিদ ডাকাতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপরাধের ১২টি মামলা পাওয়া যায়। বন্দুকযুদ্ধের পৃথক মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।