ঈদে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বহদ্দারহাট থেকে শিকলবাহা পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার দির্ঘ্য সংযোগ সড়ক । তবে এ সড়কের আন্ডারপাস এর কাজ এখনও চলমান আছে তাই এগুলো খুলে দেয়া হয়নি।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৮ উপজেলা এবং কক্সবাজার ও বান্দরবানের লক্ষাধিক মানুষ প্রতিনিয়ত চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে শহরে আসা-যাওয়া করেন। আগে বহদ্দারহাট থেকে কর্ণফুলী ব্রিজ পর্যন্ত যেতে যানজটে নাকাল হতে হতো যাত্রীদের। সংযোগ সড়কটি উন্মুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা যানজট এড়িয়ে বহদ্দারহাট থেকে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত অল্প সময়ে যাতায়াত করতে পারবেন।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আশিক কাদির বলেন, ঈদের পর আন্ডারপাস দুটির ওপরের অংশে কার্পেটিং ও র্যাম্প নির্মাণের কাজ চলবে। কর্ণফুলী সেতুর দক্ষিণ পাশে ৪ লেইনের মধ্যে ৩ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে। উত্তর পাশে বহদ্দারহাট পর্যন্ত ৬ লেইনের মধ্যে ৫ কিলোমিটার সড়কের কাজও প্রায় শেষ। শহর অংশে ৪টি সেতু নির্মিত হয়েছে। সড়কের অবশিষ্ট কাজ ঈদের পর শেষ হবে। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক করতে ঈদের আগেই সড়কটি খুলে দেয়া হয়েছে।
সওজ সূত্র জানায়, ২০১৭ সালের ৬ মার্চ ২৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩য় কর্ণফুলী সেতু অ্যাপ্রোচ সড়কের কাজ শুরু হয়। এতে যৌথ অর্থায়ন করে বাংলাদেশ ও কুয়েত সরকার। বাংলাদেশ সরকার দিয়েছে ১৬৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা এবং কুয়েত সরকার দিয়েছে ১০৭ কোটি টাকা।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএমসিজি-মীর আকতার-সাদিম আল কুয়েত জেভির সঙ্গে সওজ’র চুক্তির পর নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান মীর আকতার হোসেন লিমিটেড সড়ক সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে।
প্রকল্পের অধীনে রাহাত্তারপুল, কালামিয়া বাজার ও চাক্তাই রাজাখালী ব্রিজ এলাকায় ৩টি আন্ডারপাস নির্মাণ, শহর অংশে ৪টি সেতু ও ১টি কালভার্ট নির্মাণ, বহদ্দারহাট ইন্টার সেকশন থেকে কর্ণফুলী সেতুর শহরের অংশে ৬ লেইনের ৫ কিলোমিটার, সেতুর দক্ষিণ পাড়ে শিকলবাহা ক্রসিং পর্যন্ত ৪ লেইনের ৩ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এবং ৭টি কালভার্ট নির্মাণ কাজ গত মে মাসেই শেষ হওয়ার কথা ছিল।
অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক আশিক কাদির বলেন, এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৭০ কোটি ১১ লক্ষ টাকা। তবে সব মিলিয়ে খরচ হচ্ছে ২৬৭ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা।