রাউজানের নিউজ

রাউজানে প্রবাসীর স্ত্রী মিনার রহস্যজনক মৃত্যু মিনার পিতা ও মাতার অভিযোগ মেয়েকে নির্যাতন করায় নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আর্ত্নহত্যা করেছে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের পুলিশের বাধা

শফিউল আলম রাউজান প্রতিনিধিঃ রাউজানে প্রবাসীর মিনার রহস্যজনক মৃত্যু মিনার পিতা ও মাতার অভিযোগ মেয়েকে নির্যাতন করায় নির্যতনে অথিষ্ট হয়ে আর্ত্নহত্যা করেছে ঘটনাস্থলে সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের পুলিশের বাধা । রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের পাচঁখাইন মাঝি পাড়া এলাকার মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ নুরুল হুদার ১৬ বৎসর বয়সের কন্যা মুজাহিদা মিনাকে গত ৬ মাস পুর্বে চট্টগ্রাম শহরে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সাবালিকা দেখিয়ে পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চাদের দিঘীর পাড়া এলাকার শেখ মনসুর আলীর বাড়ীর মৃত রুহুল আমিনের পত্র ৪০ বৎসর বয়সের প্রবাসী মোঃ হারুনের সাথে বিয়ে হয় । বিয়ের সময়ে ফার্নিসার দেয় মোঃ হারুনকে । বিয়েরসময়ে ২শত ৫০ জন বরযাত্রীকে খাওয়ানো হয় । বিয়ের পর মুজাহিদা মিনাকে তার স্বামী ও ৬ ননদ মিনার বাপের বাড়ী থেকে বিভিন্ন উপটোকন আনার জন্য নির্যাতন করতো । মিনা তার নিরবে সহ্য করতো । মিনার স্বামী মধ্যপ্রাচ্যে চলে যাওয়ার পর মিনার ৬ ননদ প্রতিনিয়ত নির্যাতন করতো । গত কোরবানীর ঈদের সময়ে মিনাকে তার বাপের বাড়ী থেকে কোরবানীর পশু দেওয়ার জন্য চাপ দেয় ননদেরা । মিনাকে কোরবানীর পশুর জন্য চাপ দিলে মিনা তার পিতা শিক্ষক নুরুল হুদাকে বিষয়টি জানালে কোরবানীর জন্য মিনার শ্বাশুর বাড়িতে মিনার ননদকে ২০ হাজার টাকা দেয় । মুজাহিদা মিনাকে প্রতিনিয়ত ননদেরা মিলে নির্যাতন করে। মিনার এক ননদকে তার শ্বাশুর বাড়ীতে বিয়ে দেয় । প্রতিবেশী ননদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রতিদিন মিনাকে রান্না করে দেওয়া হতো । মিনা ননদ ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য রান্না করতে অপারগত প্রকাশ করলে মিনার উপর নেমে আসতো নির্মম নির্যাতন । নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে মুজাহিদা মিনা আর্ত্নহত্যার পথ বেচেঁ নিয়েছে বলে মিনার পিতা শিক্ষক নুরুল হুদা ও মিনার মাতা নুরজাহান দাবী করে বলেন, আমার অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যা মুজাহিদা মিনাকে বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে নিয়ে গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে সাবালিকা দেখিয়ে বিয়ে করে প্রবাসী হারুন। বিয়ের সময়ে আমার কাছ থেকে আসবাব পত্র নেয় হারুন। ২শত ৫০ জন বরযাত্রীকে খাওয়ানো হয় । বিয়ের পর আমার কন্যা মিনাকে নির্যাতন করত্ োতার ননদেরা । আমার মেয়ে মিনাকে কোন সময়ে আমার বাড়ীতে যেতে দেয়নি । গতকাল ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে আমাকে ফোন করে মিনার শ্বাশুড় বাড়ী থেকে আমার মেয়ে মারা গেছে জানালে আমি ছুঠে আসি । মিনার আর্ত্নহর্তা করার সময়ে যে কক্ষে আর্ত্নহত্যা করেছে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যকে ঐ কক্ষে যেতে দেয়নি পুলিশ ও মিনার শ্বাশুর বাড়ীর লোকজন । আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই। রাউজানের পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবু উদ্দিন আরিফ বলেন, গতকাল ১৬ আগষ্ট মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময়ে আামাকে মিনার শ্বাশুড় বাড়ীর লোকজন মিনা আর্ত্নহত্যা করেছে বলে সংবাদ দেয় । আমি সংবাদ পেয়ে পুর্ব গুজরা পুলিশ তদন্ত ফাড়ীর ইনচার্জ এস আই ইসমাইল সহ পুলিশ, মহিলা গ্রাম পুলিশ ও মিনার পিতা নুরুল হুদা, মাতা নুর জাহান বেগম সহ মিনার বোনদের নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় । মিনার শ্বাশুড় বাড়ীর পাকা ঘরের মধ্যে মিনার শয়ন কক্ষের দরজা ভেতর থেকে বন্দ্ব অবস্থায় দেখতে পায় । মিনার শয়ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে শয়ন কক্ষে প্রবেশ করে মিনার শয়ন কক্ষের মধ্যে সিলিং ফ্যানের সাথে মিনার লাশ ঝুলতে দেখা যায় । মিনার শয়ন ক্ষক থেকে সিলিং ফ্যান থেকে মিনার ঝুলানো লাশ পুলিশ উদ্বার করে। ঘটনার সংবাদ পেয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংবাদকর্মী পরিচয় দিলে ও রাউজানের পুর্ব গুজরা পুলিশ তদন্ত ফাড়ির ইনচার্জ এস আই ইসমাইল হোসেন মিনার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করতে বাধা দেয় । মিনার লাশ দেখতে ও বাধা দেয় । রাউজানের পুর্বগুজরা পুলিম তদন্ত ফাড়ির ইনচার্জ এস আই ইসমাইল, বলেন, শয়ন কক্ষ দেখতে পারবেনা ও মিনার লাশ দেখানো যাবেনা । শয়ন কক্ষের সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলানো অবস্থা থেকে মিনার লাশ উদ্বার করা হয়েছে । মিনার লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হচ্ছে । মিনার লাশের ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মিনাকে হত্যা না আর্ত্নহতা করেছে সত্যতা নিশ্চিত করা যাবে । ময়না তদন্ত রিপোর্টে মিনাকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে রিপোর্ট পাওয়া গলে হত্যা মামলা রেকর্ড করা হবে । মিনার লাশ উদ্বারের পর একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করার প্রস্তুতি চলছে ।

কাপ্তাই সড়কে বেপরোয়া গতিতে আসা সিএনজি স্কুলছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে গেল যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিক্সা

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় কাপ্তাই সড়কে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি নিবন্ধ বিহীন গাড়ি স্কুলে যাওয়ার সময় সড়ক পার হতে গিয়ে সিএনজি অটোরিকশার ধাক্কায় এক স্কুলছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।অস্টম শ্রেণীর ওই স্কুলছাত্রীকে ধাক্কা দিয়ে খাদে পড়ে গেল পাঁচ যাত্রীবাহি ঐ সিএনজি অটোরিক্সা। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেছে। গতকাল ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকালে রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমলার দিঘির পাড়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।আহত স্কুল ছাত্রীর নাম তানজিনা হামিদ (১৪)।রাউজান উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গর্জা- গণির পাড়া গ্রামের প্রবাসী আব্দুল হামিদের মেয়ে এবং নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণীর ছাত্রী। আহত সিএনজি অটোরিকশার পাঁচ যাত্রীর নাম পাওয়া যায়নি। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে স্কুলে যেতে সড়ক পার হচ্ছিল আহত ছাত্রী তানজিনা হামিদ। এসময় চট্টগ্রাম নগরীর কাপ্তাই রাস্তার মাথাগামী একটি নিবন্ধনহীন অটোরিকশা তাকে ধাক্কা দিয়ে পাঁচ যাত্রী নিয়ে পাশের খাদে পড়ে যায় অটোরিকশাটি। এসময় যাত্রী ও চালক আহত হন। নোয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ জানে আলম বলেন, আহত স্কুল ছাত্রী স্কুলে আসার পথে অটোরিকশা চাপা পড়ে। তিনি বলেন, সড়কে অটোরিকশাগুলো খুব বেপরোয়া গতিতে চলে। এতে প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হয় তাঁর স্কুলের শিক্ষার্থী ও অন্যান্যরা।নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বলেন, ঘটনার পর তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে খাদ থেকে সিএনজি অটোরিকশাটি উদ্ধার করেছি। আহতদের স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন বলে জানান তিনি।

চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতালকে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্টের ১ কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা

শফিউল আলম, রাউজান প্রতিনিধিঃ গত ১৫ আগস্ট সোমবার চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেলার অসহায় মানুষদের কিডনী ডায়ালাইসিস ও চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ‘চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল’এর নবনির্মিত ভবনের একটি ফ্লোর ও চিকিৎসার সরঞ্জামসহ সমস্ত যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট-এর পক্ষ হতে এক কোটি টাকার অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে মাইজভাণ্ডার শরিফ গাউসিয়া হক মন্জিল প্রতিষ্ঠিত শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট-এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি সৈয়দ মোহাম্মদ হাসান মাইজভাণ্ডারী’র নির্দেশে এই অনুদান ঘোষণা করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ‘চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল’-এর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে ট্রাস্টের পক্ষ হতে চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ফান্ডে প্রথম ধাপে ৩০ লক্ষ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়।
চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইমরান বিন ইউনুস, প্রকৌশলী আলী আহমেদ, প্রকৌশলী মতিউর রহমান, জেসমিন সুলতানা পারু, রোটারী ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮২’র ডিজি রুহেলা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম আবুল কাসেম, ‘এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট’র সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এম জাফর, প্রকৌশলী কামালুর রহমান, প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন এবং ফাউন্ডেশনের সদস্যবৃন্দ।
অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (কঃ) ট্রাস্ট-এর আজকে আমাদের সাথে এই অংশগ্রহন আল্লাহ্র দরবারে অধিক বরকতময় হিসেবে বিবেচিত হবে। এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট ও চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশন সমাজের অবহেলিত চিকিৎসাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। দুই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্যই হল মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করা। ভবিষ্যতে ট্রাস্টকে তাদের সকল কাজে সহযোগি হয়ে পাশে পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ট্রাস্টকে এই মহতি উদ্যোগে পাশে রাখায় ট্রাস্টের পক্ষ হতে চট্টগ্রাম কিডনী ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট দেশের বিভিন্ন এলাকায় অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১১টি স্থায়ী চিকিৎসা কেন্দ্র পরিচালনা করে থাকে।