ঋণ চাওয়ার কথা জানালো আইএমএফ, এশিয়ায় প্রথম বাংলাদেশ

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ বলেছে, তাদের কাছে ‘রিসাইলেন্স ট্রাস্ট’-এর অধীনে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে একটি ইংরেজি দৈনিক খবর দেয় যে, আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি ওই রিপোর্টে। অবশেষে আইএমএফ নিজেই সে কথা জানান দিল। তারা বলেছে, আইএমএফের ‘রিসাইলেন্স অ্যান্ড সাসটেইন্যাবলিটি ট্রাস্টের (আরএসটি)’ অধীনে নতুন করে ঋণ নিয়ে আলোচনা শুরুর জন্য তাদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো দেশের টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে আরএসটি সহায়তা দেয়া হয়ে থাকে। এসব কথা মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন আইএমএফের এশিয়া ও প্যাসিফিক ডিপার্টমেন্টের পরিচালক কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন ভিত্তিক এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এশিয়া থেকে প্রথম দেশ হিসেবে ৪১৬ কোটি ডলার সহায়তার জন্য অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কিভাবে মোকাবিলা করা যায়, সে বিষয়ে মনোযোগ বাড়াতে চায়। কৃষ্ণা শ্রীনিবাসন রয়টার্সকে বলেছেন, (আপার ক্রেডিট ট্রাঞ্চ) কর্মসূচির পাশাপাশি আসে আরএসটি।

তাই এটা হলো যৌথ উদ্যোগ। যে পরিমাণ অর্থ চাওয়া হয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হবে। এর অর্থ হলো বাংলাদেশকে নিয়মিত আইএমএফ সমর্থিত কর্মসূচির প্রয়োজন হবে। যেমন নতুন ধরনের অর্থ পাওয়ার জন্য স্ট্যান্ডবাই চুক্তি অথবা বর্ধিত তহবিল সুবিধায় সক্ষম হতে হবে বাংলাদেশকে।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশকে রূপান্তরমূলক পরিবর্তন, যেমন জলবায়ু পরিবর্তন এবং মহামারি প্রস্তুতির মতো বিষয় মোকাবিলার জন্য এই সুবিধা দেয়া হয়। কেউ আশা করতে পারেন যে, এর সুবিধা নিতে পারে অন্য দেশগুলোও।

কোনো একটি দেশের জন্য নির্ধারিত কোটার সর্বোচ্চ শতকরা ১৫০ ভাগ পর্যন্ত আরটিএস তহবিল দেয়া হয়। এই হিসাবে বাংলাদেশের কোটা সর্বোচ্চ ১০০ কোটি ডলার। মঙ্গলবার ডেইলি স্টার এক রিপোর্টে জানায়, আইএমএফের কাছে বাংলাদেশ ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ চেয়েছে। এই ঋণ চেয়ে সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কাছে চিঠি লিখেছেন অর্থমন্ত্রী এএইচএম মোস্তফা কামাল। এ সংক্রান্ত ডকুমেন্ট ডেইলি স্টার দেখতে পেয়েছে বলে খবরে জানানো হয়।

রয়টার্স বলছে, অক্টোবরে আরএসটি থেকে অর্থ ধার দেয়া শুরু করতে পারে আইএমএফ। তাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে আবেদন করতে পারে নিম্ন আয়ের এবং মধ্যম আয়ের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলো। এই ঋণের মেয়াদ থাকবে ২০ বছর। এক্ষেত্রে গ্রেস পিরিয়ড বা বাড়তি সময় হিসেবে সাড়ে ১০ বছর পর্যন্ত সময় থাকবে।