আজ জিতলে থাকবে না জয়-পরাজয়ের ব্যবধান

ইতিমধ্যেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় আজ গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে সাইড বেঞ্চের শক্তি পরীক্ষার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ। এজন্য অবশ্য উইন্ডিজকে ধোলাই করার ইচ্ছা বিসর্জন দেয়নি তামিম ইকবালের দল। জয় দিয়েই তারা উইন্ডিজ সফর শেষ করতে চায়। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ায়, শেষ ওয়ানডে রূপ নিয়েছে নিয়মরক্ষায়। এ সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-০ (প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত) ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওয়ানডের ভেন্যু ছিল গায়ানা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মতো ধীরগতির উইকেট ছিল, যা বাংলাদেশের জন্য সুবিধাজনক। বৃষ্টি বিঘ্নিত প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে জিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে জয় আসে ৯ উইকেটে।

দ্বিতীয় ম্যাচ শেষে গায়ানাতেই অধিনায়ক তামিম জানিয়েছেন, শেষ ম্যাচে বেঞ্চ পরীক্ষা করবেন তিনি। বাংলাদেশের কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও একই কথা বলেছেন, ‘শেষ ম্যাচটি আমাদের জন্য একটা দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ। এতদিনে এত গুরুত্বপূর্ণ সব ওয়ানডে সিরিজ খেলেছি, যেখানে পয়েন্ট খুব জরুরি। দলে পরিবর্তনের কথা খুব একটা ভাবনায় আনা যায়নি। তবে এখানে সুযোগ আছে পরখ করার। কারণ ২০২৩ বিশ্বকাপে তাকিয়ে কিছু ক্রিকেটারকে দেখে নেওয়ার ব্যাপার আছে।’ এর আগে তামিম বলেছিলেন, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের আগে আমাদের সর্বোত্তম কম্বিনেশন সেট করা জরুরি। তখন যারা খেলেনি বা যাদেরকে নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরে ঘুরছি, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। এটির জন্য আমারও এক-দুই ম্যাচ মিস করতে হলে, ইটস ফাইন। কোনো সমস্যা নেই।’ দুই ওয়ানডেতে জয়েই বড় ভূমিকা রাখেন অফ-স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও এই সিরিজে অভিষেক হওয়া বাঁ-হাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড় এই ওয়ানডে সিরিজে খেলেননি। এরা হলেন- এবাদত হোসেন, এনামুল হক বিজয় ও তাইজুল ইসলাম। তাই মোস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদের সঙ্গে টপ অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্তকে বিশ্রাম দিতে পারে বাংলাদেশ। বিশ্রাম দেয়া হতে পারে পেসার শরিফুল ইসলামকেও। শরিফুলের যায়গায় আজ ফিরতে পারেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ওয়ানডে সিরিজে প্রথম বারের মতো মাঠে নামতে পারেন পেসার এবাদত হোসেন, স্পিনার তাইজুল ইসলাম ও টপ অর্ডার ব্যাটার এনমুল হক বিজয়। এদের মধ্যে বিজয় তিন বছর পর ওয়ানডে দলে সুযোগ পেয়েছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে দারুন পারফরমেন্স করেই জাতীয় দলে জায়গা নিয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। যদিও টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি সুযোগ পেয়েও নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি তিনি। বুধবারের দ্বিতীয় ওয়ানডের জয় শুধুমাত্র বাংলাদেশের সিরিজই নিশ্চিত করেনি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে। শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পর টাইগারদের এটা টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা চতুর্থ সিরিজ জয়। তাই তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হারিয়ে ১১তম জয়ের পাশাপাশি ক্যারিবীয়দের হোয়াইটওয়াশও করবে টাইগাররা। ২০১৮ সাল থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টাইগাররা ৪৩টি ওয়ানডে খেলেছে। জিতেছে ২০টিতে, হেরেছে ২১টিতে। ২টি পরিত্যক্ত হয়। যদি সিরিজের শেষ ওয়ানডে জিততে পারে বাংলাদেশ তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়-হারের ব্যবধান সমান হয়ে যাবে। উল্লেখ্য, ওয়ানডেতে ৩৯৬টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে জয় ১৪২টি, হার ২৪৭টি এবং ৭টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।