নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতির সাক্ষী আমেরিকা

রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ প্রভাব ফেলেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে করোনা মহামারীর ধাক্কা। এমন পরিস্থিতিতে নজিরবিহীন মুদ্রাস্ফীতির সাক্ষী হয়েছে আমেরিকা। তাই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে গত ৩০বছরের রেকর্ড ভেঙে সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করল মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। নীতি-নির্ধারণকারী ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটি পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে, তারা ২ শতাংশ লক্ষ্যে মুদ্রাস্ফীতি ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং মূল হার বৃদ্ধি অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক ০.৫-শতাংশ-পয়েন্ট বৃদ্ধি অনুমোদন করতে প্রস্তুত বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন যে মুদ্রাস্ফীতির দ্রুত বৃদ্ধি ফেডকে সমস্যায় ফেলেছে, যার অর্থ মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় তার সংকল্প প্রমাণ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ দেখাতে হবে। ফলে আগামী দিনে সুদের হার আরও বাড়াতে পারে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য,এর আগে ১৯৯৪ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম বার সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানো হয়েছিল। ফেড চেয়ার জেরোম পাওয়েল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিকল্পনা সম্পর্কে আরও বিশদ তথ্য প্রদানের জন্য একটি প্রেস কনফারেন্স করবেন, যা আসন্ন বৈঠকে নীতিনির্ধারকরা কতটা আক্রমনাত্মক হবে তার ইঙ্গিত দিতে পারে । এ বছরের শেষ দিকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রাস্ফীতি সূচক ৫.২ শতাংশ বাড়তে পারে। এদিকে, জিডিপি বৃদ্ধির হার ১.৭ শতাংশে নেমে আসতে পারে।

আগের পূর্বাভাস অনুযায়ী যা ছিল ২.৮ শতাংশ। চলতি বছরের শেষে ফেডারেল তহবিলের হার দাঁড়াতে পারে ৩.৪ শতাংশে, ত্রৈমাসিক পূর্বাভাস অনুযায়ী এমনটাই মনে করছেন কমিটির সদস্যরা। FOMC উল্লেখ করেছে যে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাব “মুদ্রাস্ফীতির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কার্যকলাপের উপর প্রভাব ফেলছে। চীনে চলমান কোভিড -১৯ লকডাউন সাপ্লাই চেনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।”রাশিয়া থেকে তেল ও গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ করেছে আমেরিকা। আমেরিকায় পেট্রলের দাম পৌঁছে গিয়েছে ৫ ডলার প্রতি গ্যালনে। পরিস্থিতিতে লাগাম টানতে রেকর্ড হারে সুদ বাড়িয়েছে আমেরিকা। এর ফলে কার লোন, হোম লোন, ক্রেডিট কার্ড বিলের পরিমাণ বাড়বে।