বৃষ্টি এলো … বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি ! …

“বৃষ্টি এলো … বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি ! ….
… বৃষ্টি এলো পুবের হাওয়ায়,

বিদগ্ধ আকাশ, মাঠ ঢেকে গেল কাজল ছায়ায়;

বিদ্যুৎ-রূপসী পরি মেঘে মেঘে হয়েছে সওয়ার।

দিকদিগন্তের পথে অপরূপ আভা দেখে তার

বর্ষণমুখর দিনে অরণ্যের কেয়া শিহরায়,

রৌদ্র-দগ্ধ ধানক্ষেত আজ তার স্পর্শ পেতে চায়,”

<strong>মির্জা ইমতিয়াজ শাওন:</strong> গোটা দেশের মতো চট্টগ্রামে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ ও লোডশেডিংয়ে জনজীবন বিপর্যস্ত। প্রকৃতিকে শীতল করতে বৃষ্টির আহ্বানই জানাচ্ছিলেন অসহায় মানুষেরা। অবশেষে সেই প্রতীক্ষিত বৃষ্টি এলো।। একঝলক স্বস্তির বৃষ্টিতে তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবনে কিছুটা নেমেছে স্বস্তি।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার দিকে চট্টগ্রামের কিছু কিছু স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে গতকাল বুধবার বিকেল থেকে আকাশে ছিল মেঘের ঘনঘটা, রাতে কিছু কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি হয়।
বৃষ্টির ফলে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে; যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল সল্প সময়ের। তীব্র তাপপ্রবাহে ধুঁকতে থাকা মানুষ বৃষ্টি দেখে আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে পড়েন। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বৃষ্টির ছবি, ভিডিও পোস্ট দেন, সাথে জুড়ে দেন নিজের অনুভুতি।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে কয়েক দফা বৃষ্টি পড়ে। সঙ্গে ছিল বজ্রপাতও। বৃষ্টির সময় পানি সংকটে থাকা গৃহস্থদের বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে দেখা যায়। স্কুলগামী শিশুসহ অনেককে খুশিতে ভিজতে দেখা যায়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবদুল বারেক জানান, গতকাল দিবাগত রাত আড়াইটা–তিনটার দিকে প্রথম একদফা সামান্য বৃষ্টি হয়। মূলত এটা কালবৈশাখীজনিত বৃষ্টি। ওই বৃষ্টির পরিমাপ ছিল ১ মিলিমিটার। এরপর আজ সকাল ৯টার পর যে বৃষ্টি হয়েছে, তার পরিমাপ পাওয়া যাবে দুপুর ১২টার পর।


আজকে আরো বৃষ্টি হতে পারে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের প্রভাবে আজ চট্টগ্রামে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। শুক্রবারও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।

সূত্র জানায়, বেলা পৌনে ২টার দিকে জোয়ার শুরু হবে। ভাটা শুরু হবে রাত আটটায়। জোয়ারের সময় ভারী বৃষ্টি হলে চট্টগ্রাম শহরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতে পারে।

গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  চট্টগ্রামে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৪ শতাংশ। ১৫ এপ্রিল তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি ছিল। এরপর তাপমাত্রা ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করেছে। তাপমাত্রার পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতার কারণে প্রচন্ড গরম অনুভূত হয়।