দেশের জনমনে সঞ্চিত ক্ষোভ জনবিস্ফোরণে রুপ নিবে -আবু সুফিয়ান

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন, একেত তেল-চাল-ডাল-পিয়াঁজ সহ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির চরম ঊর্ধ্বগতির কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত। তার উপর গ্যাস এর মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার প্রমাণ করেছে দেশের মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দরদ নেই। জনগণের বাচাঁ-মরা নিয়ে সরকারের কিছু যায় আসেনা, যেহেতু তারা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত না।  ইতোপূর্বে তেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ। তাই নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মূল্য দিনে দিনে আকাশচুম্বি হয়ে উঠেছে। সরকার লাগামহীন উর্ধ্বমুখী বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় এখন হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও। নতুন গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম এখন আরও বাড়বে। জনগণের পক্ষে এই খরচ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সহ গ্যাস-বিদ্যুৎ এর দাম বাড়ার একমাত্র কারণ হচ্ছে সরকারের অব্যবস্থাপনা, সীমাহীন দুর্নীতি এবং তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেট। অবিলম্বে গ্যাসের দাম বাড়ানোর হটকারি সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে, আগের দামে ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকারের উচিত দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করা। অন্যথায় দেশের জনমনে সঞ্চিত ক্ষোভ যেকোন মুহুর্তে জনবিস্ফোরণে রুপ নিবে।
তিনি আরোও বলেন, বাংলাদেশে বহুদলীয় ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির পুনরুজ্জীবন, সময়োপযোগী গতিশীল পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণের মাধ্যমে বিশ্ব রাজনীতিতে বাংলাদেশের স্বতন্ত্র অবস্থান ও গতিপথ নির্ধারণ এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সহযোগিতার পথনির্দেশ শহীদ জিয়ার অন্যতম অবদান। বর্তমান সরকার শহীদ জিয়ার অবদানকে অস্বীকার করে, তাঁর গড়া দল বিএনপিকে ধংবস করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। কিন্তু ইতিহাস থেকে কারো অবদান জোর করে মুছে দেয়া যায় না। জনগণের মনিকোঠায় যার স্থান তিনি জনগণের হৃদয়ে আজীবন বেঁচে থাকবেন। তাঁর আদর্শ ধারণ করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর ৪১তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ ১০জুন (শুক্রবার) বাদ আসর ৪নং চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শরিক হন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুল আলম, আনোয়ার হোসেন লিপু, চান্দগাঁও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন ভুইয়া, মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি জানে আলম জিকু, ইকবালুর রহমান চৌধুরী, দিদারুল আলম হীরামন, ইঞ্জি. ইলিয়াছ আলী, মনছুর আলম,সালামত আলী, নুরুল আলম লিটন, মো. কামাল উদ্দিন, মো. আলম, মো. আলমগীর, মো.বাহাদুর ,চান্দগাঁও থানা যুবদলের আহবায়ক গোলজার হোসেন, মহানগর যুবদল এর শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, কৃষি সম্পাদক নুরুল আমিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক আবু বক্কর রাজু, জাহেরু মাসুদ, মো. আলমগীর, মো. নাছির উদ্দিন, জাহেদ হোসেন, চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাজিদ হাসান রনি, সদস্য সচিব মো. শহীদুজ্জামান, থানা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইউসুফ আলী লিটন, সাবেক মহানগর ছাত্রদল নেতা নওশাদ আল জাসেদুর রহমান, মো. হাকিম, মো. ইসকান্দর হোসেন, মো. আনিসুজ্জামান, জালাল উদ্দিন, আমজাদ হোসেন ইমরান, চান্দগাঁও থানা ছাত্রদলের আহবায়ক মো. আব্দুর রহমান আলফাজ, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক জহুরুল ইসলাম জহির,কামাল হোসেন খোকন, মো. সোহাগ ,মো. বাবলু, ছাত্রদল নেতা মো. আসিফ, মো. ইব্রাহিম,মো. আরিফ মহিউদ্দিন, সাকলাইন মুস্তাফা ,মুনির আবদুল্লাহ রাফি, রনি হোসেন, মো. খোরশেদ আলম, মো. মিজান,আব্দুর রহিম, মো. আরিফুর রহমান হিরু, মো. ফিরোজ, মো. দিদার, মো. রুবেল প্রমুখ।