বাজেট নিয়ে ভাবনা নেই বিক্রেতাদের

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বরাবরের মতোই দেশের বৃহত্তম এ বাজেট নিয়ে কোনো ভাবনা নেই নগরের বিভিন্ন বাজারের বিক্রেতাদের।তারা বলছেন, ‘বাজেট বুঝি না, জিনিসপত্র আড়ত থেকে এনে বিক্রি করছি। আড়তে দাম বাড়লে আমরাও বেশি দামে বিক্রি করি। তবে নিত্যপণ্যের দাম কমলেই খুশি’।

বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে প্রতিবছরই খাদ্যদ্রব্যসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমে-বাড়ে। এতে ক্ষুদে বিক্রেতা শ্রেণির ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হয় না। অল্প পুঁজি বিনিয়োগকারী এসব ব্যবসায়ীরা তাই বলছেন, কোথায় কি হচ্ছে সেটা দেখার সময় নেই। কম দামে কিনে আনলে কম দামে বিক্রি করবো। বেশি দামে কিনলে বেশি দামেই বিক্রি করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বাজেট ঘোষণার পর কাঁচাবাজারে এখনো তার প্রভাব পড়েনি। সবজি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে দাম। শুক্রবার (১০ জুন) নগরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শসা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭৫ টাকা। লম্বা বেগুনের কেজি ৬৫-৭৫ টাকা। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা, করলা ৫৫-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজি ৩৫-৩৮ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০-৪২ টাকা, পটল ৪০-৪২ টাকা, ঢেঁড়স ৬৫-৭০ টাকা, পেঁপে ৪৫-৪৮ টাকা, বরবটি ৫৫-৬০ টাকা।

কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ২০ টাকা। বাজারে আলু প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৮ টাকায়। পেঁয়াজের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। চায়না রসুন কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। বার্মার আদা কেজি ৬০ থেকে ৭০টাকা। চায়না আদার দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। বাজারে প্রতিকেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৮৩ টাকায়। এছাড়া প্যাকেট চিনি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৮৮ টাকায়।

চকবাজারের কাঁচা তরকারি বিক্রেতা দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বাজেটের সঙ্গে তরকারির কি সম্পর্ক- সেটাই বুঝি না। গত সপ্তাহে যে দামে তরকারি বিক্রি করেছি, এখনও সেই দামে বিক্রি করছি। বাজারে সবজির চাহিদা থেকে সরবরাহ অনেক বেশি।

মিনহাজ উদ্দীন মিনার নামে এক ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম অনেক বাড়তি। বাজার মনিটরিং করা জরুরি।

এদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম ৫ টাকা বেড়ে ১৫৫-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৪৬৫-৪৮৫ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি ৭০০ টাকা। মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ কেজি ২৯০-৩৫০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙাস কেজি ১৬০-১৮০ টাকা, শিং মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, কৈ মাছ ২২০-২৫০ টাকা, পাবদা ৩৩০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

কাজীর দেউড়ির মুরগি ব্যবসায়ী মো.সৈয়দ হোসেন শিশু বলেন, দেশি মুরগীর দাম বাড়েনি, তবে ব্রয়লার মুরগির দাম সামান্য বেড়েছে।