যথাসময়ে রাসায়নিক পণ্য খালাস করে নেওয়ার আহ্বান

চট্টগ্রাম বন্দরে রাসায়নিক পদার্থ জাতীয় পণ্য আমদানি হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে এবং বিমানবন্দরে আমদানির ২১ দিনের মধ্যে খালাস নেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছেন কাস্টমস কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ জুন) চট্টগ্রাম কাস্টমস থেকে জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কাস্টমস আইনের অ্যাক্ট ১৯৬৯ সেকশন ৮২ এর সাব-সেকশন-১ এর ধারামতে, সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে আমদানিকৃত পণ্যচালান বন্দরে অবতরণের ৩০ দিনের মধ্যে এবং বিমানবন্দরে অবতরণের পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে অথবা উভয়ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত অতিরিক্ত সময়সীমার মধ্যে শুল্ক কর পরিশোধ করে খালাস নিতে হবে।

‘বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, আমদানিকারকগণ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের আমদানিকৃত পণ্য চালান খালাস নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অধিক্ষেত্রাধীন চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, সকল বেসরকারি কন্টেইনার ডিপো এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাধ্যমে রাসায়নিক জাতীয় পণ্যসহ সকল পণ্যচালান দ্রুত খালাস গ্রহণে অনুরোধ করা হল’।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) নুর উদ্দিন মিলন বলেন, সকল ধরনের পণ্যচালান সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে আমদানি হলে ৩০ দিনের মধ্যে এবং বিমানবন্দরের মাধ্যমে আমদানি হলে ২১ দিনের মধ্যে খালাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু আমদানিকারকরা খালাস না নেওয়ায় বন্দরের কন্টেইনার জট সৃষ্টি হয়। চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও বিমানবন্দরে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ দীর্ঘদিন ফেলে রাখাটা ঝুঁকিপূর্ণ।

তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন ও কন্টেনার ভর্তি হাইড্রোজেন পার অক্সাইড থেকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর আমরা বিশেষভাবে রাসায়নিক জাতীয় পদার্থ যথাসময়ে খালাস নিতে আমদানিকারকদের অনুরোধ জানাচ্ছি। অন্যথায় নির্দিষ্ট সময়ের পর এসব রাসায়নিকের চালান নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার (৬ জুন) চট্টগ্রাম বন্দরে চার বছর ধরে পড়ে থাকা ৩০ টন হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ৫ লাখ ২০ হাজার টাকায় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলামে বিক্রি করে দেয়।