শফিউল আলম, রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামের রাউজানে খাবারের সন্ধানে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির মাল্টাবাগানে ছুটে আসছে বন্য শূকর। কেঁচো খাওযার জন্য বাগানের প্রতিটি গাছের নিচে গর্ত করে ফেলা হচ্ছে। এতে শিকড় ছিঁড়ে গাছগুলো মরে যাওয়াসহ বৃষ্টির পানি জমে মাল্টার কলাম মরে বড় ধরনের লোকসান ও মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়া। সরেজমিন পরিদর্শন করে শূকরের দল বাগানের মাটি কুঁড়ে ফেলায় গাছের শিকড়ের ক্ষতি ও ফলনে সমস্যার বিষয়টি প্রতিয়মান হওয়ায় বনবিভাগকে জানানো হয়েছে, তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন। জানা যায়, রাউজান সদর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের জয়নগর বড়ুয়াপাড়া সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১ একর জমিতে বিষমুক্ত নিরাপদ মাল্টা উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতিতে মাল্টাবাগান সৃজন করেন প্রেমতোষ বড়ুয়া। ৩২০টি কলামের প্রতিটিতে ফলন ধরেছে। কৃষক প্রেমতোষ বড়ুয়া বলেন, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে আমার বাগানো শূকর আসছে, বাগানের মাটি কুঁড়ে ফেলছে। গত সাড়ে ৩ বছর ধরে রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয়নি। নিজের তৈরি কমপোস্ট সার ব্যবহার করায় প্রতি ইঞ্চি মাটিতে শতাধিক কেঁচো আছে। কেঁচো খাওয়ার জন্যই রাতের বেলায় বন্য শূকর বাগানে ছুটে আসছে। প্রাকৃতিক কৃষি পদ্ধতির বাগান হওয়া বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী আসবে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু শূকরগুলো আমার বাগান ধ্বংস করে ফেলবে বলে মনে হচ্ছে। তাই উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আমার বড় ধরনের ক্ষতি হবে।’ রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসাইন বলেন, ‘খাবারের সন্ধানে প্রেমতোষ বড়ুয়ার বিষমুক্ত মাল্টা বাগানে শূকর আসার বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে শূকরের দল বাগানের মাটি কুঁড়ে ফেলায় গাছের শিকড়ের ক্ষতি ও ফলনে সমস্যার বিষয়টি প্রতিয়মান হওয়ায় বনবিভাগকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আশ^াস দিয়েছেন।’