শফিউল আলম,রাউজান: চট্টগ্রামের রাউজানে এক কলেজছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাউজান পৌরসভার ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরায় একটি কোচিং সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন কলেজছাত্রীর পিতা ওসমান গণি। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ওই কলেজছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিল রাউজান পৌরসভার ০৩ নম্বর ওয়ার্ডের গহিরা গ্রামের সায়ের মোহাম্মদের বাড়ির মো. পেয়ারুর ছেলে মো. হারুনুর রশিদ (৩২)। প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো হারুন। সর্বশেষ গত সোমবার, ২৮ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে কোচিং শেষে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে ওই কলেজছাত্রীকে মো. হারুনুর রশিদ (৩২) যৌন নিপীড়ন করে। ওই কলেজছাত্রী প্রতিবাদ করায় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মেরে আহত করে মোটরসাইকেল যোগে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযুক্ত হারুন। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কালেজছাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে ভুক্তভোগীর বাবা বাদি হয়ে রাউজান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
কলেজ ছাত্রীর পিতা ওসামন গণি বলেন, ‘আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় পূর্বে ওৎপেতে থেকে কোচিং সেন্টার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের উপর আমার মেয়ের উপর হারুন ঝাপটে পড়ে অবৈধভাবে যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে আমার মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে যৌন নিপীড়ন করে। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।’ অভিযুক্ত মো. হারুনুর রশিদ (৩২)’র মুঠোফোনে ফোন করা হলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইঁয়া বলেন, ‘মেয়েটির গায়ে হাত দেওয়ার বিষয়টি সত্য। অভিযোগ পাওয়ার পর আমাদের তদন্ত চলছে, তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ওসি আরও বলেন, হারুনুর রশিদের পরিবারের ভাষ্য, ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে হারুনুর রশিদের প্রেমপরবর্তী বিয়ে হয়েছিল। এরপর বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন হারুনুর রশিদ। এরপর থেকে সে তার স্ত্রী দাবি করে বিভিন্ন সময় বিরক্ত করে থাকে। ’