১৯৭৬ সালের পর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ শুক্রবার বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‌‘ফণি’র বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের বরাত দিয়ে দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত এপ্রিল মাসে বঙ্গোপসাগরে ও ভারত মহাসাগরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে তার কোনোটি কখনই ‘ফণি’র মতো এতো শক্তিশালী আকার ধারণ করেনি।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সাধারণত ৮৯ থেকে ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। সেখানে উপকূলের কাছাকাছি আসার আগে এখনই ‘ফণি’র গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার ভারতের উড়িষ্যা রাজ্যে ‘ফণি’ আঘাত হানতে পারে। আছড়ে পড়ার সময় ফণির গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার পর্যন্ত থাকতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’র সম্ভাব্য আঘাত থেকে বাঁচতে এরই মধ্যে উড়িষ্যা উপকূল থেকে ৮ লাখ মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে দেশটি।

‘ফণি’ মোকাবেলায় বাংলাদেশও পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। উপকূলীয় ১৯ জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবীকে সেখানে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট, আর্মড ফোর্সেস ডিভিশন (এএফডি), ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ রেডিওর পক্ষ থেকে বার্তা যাচ্ছে। সেখান থেকে সাবধান হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং বরিশাল ও খুলনা বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।