চিৎমরমে খেলার বিবাদের জেরে প্রতিপক্ষকে কুপিয়ে জখম

কাপ্তাই প্রতিনিধি খেলার বিবাদকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের আক্রমণে একব্যাক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক ভাবে জখম করা হয়েছে। গুরুতর আহত মনজুরুল হককে (৩৫) উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়েছে। সে চিৎমরম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুল হকের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার রাত প্রায় ৯টায় কাপ্তাই উপজেলাধীন চিৎমরম ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মুসলিম পাড়ায়। ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সিরাজুল হক জানান, ঘটনারদিন সকালে খেলাধূলাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের ছেলেদের মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতাহাতি হয়। পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিরা মিলে সৃষ্ট ঘটনাটি মীমাংসা করেন। কিন্ত রাত ৯ টায় এই ঘটনার জেরে পলাশ মিস্ত্রি তার সঙ্গীয় সন্ত্রাসী রফিকসহ আরো লোকজন নিয়ে এসে প্রতিপক্ষ পরিবারের মনজুরুলকে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে। এতে তার মাথায় ও বাম হাতে গুরুতর জখম হয়। আহত মনজুরুলকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার পরিবারের সদস্যরা রাতে চিকিৎসার জন্য প্রথমে চন্দ্রঘোনা খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালে নিয়ে যায়।তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এদিকে, ঘটনার পরপরই ইউপি সদস্য মোঃ সিরাজুল হক স্থানীয়দের সহায়তায় অভিযুক্ত পলাশ মিস্ত্রি, তার স্ত্রী, মেয়ে এবং তার সহযোগী রফিকের স্ত্রীকে আটক করে চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে তাদের আটক করে। চন্দ্রঘোনা থানার ওসি ইকবাল বাহার চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ইউপি সদস্যের মাধ্যমে খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ সংগঠিত এলাকায় গিয়ে ৪ জনকে আটক করে। ওসি জানান, এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, অভিযুক্ত পলাশ মিস্ত্রির সহযোগী রফিক পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।