নগরীর অধিকাংশ সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে

ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলেডা.শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, বিমানবন্দর সড়কসহ নগরীর অধিকাংশ সড়ক মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। গতকাল বিমানবন্দর সড়কে নির্মমভাবে নিহত হয়েছে একই পরিবারের পিতা ও পুত্র। রাস্তার বেহাল দশার কারণে আজ অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ। অনির্বাচিত সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা তাদের আখের গোছাতে ব্যস্ত। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। একটি বাণিজ্যিক রাজধানীর রাস্তা এরকম মরণ ফাঁদ তৈরি হবে তা আমরা কখনো চিন্তাও করি নাই। প্রতিদিন যানজটে অতিষ্ঠ নগরবাসী। সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সিটি কর্পোরেশন, সিডিএ, ওয়াসা, ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বহীনতা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয়হীনতার কারণে আজ নগরবাসীকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিডি দুষছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন দুষছে সিডিএকে। বিমানবন্দরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এভাবে বছরের পর বছর সংস্কারের অভাবে কেন পড়ে আছে নগরবাসী বোধগম্য নয়। বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বেহাল দশা জন্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো দায়ী। তিনি আজ ১০ এপ্রিল, রবিবার, বিকালে ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ডা.শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আজকের সাধারণ মানুষ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিনাপাত করছে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে এসেও আমাদের কে ভাতের ও ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সরকারের সমালোচনা করলেই তার বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ও নির্যাতন শুরু হয়। আইনের শাসন আজ চরমভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে। দেশের গণতন্ত্রকে বাঁচাতে হবে, মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করেছিল সেই স্বপ্নকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল কে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ ভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে। প্রধান বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন বলেন, এই সরকারের সময় শ্রমিকরাই বেশি নির্যাতিত ও নিষ্পেষিত। নিম্নআয়ের শ্রমজীবী মানুষজন আজ নিদারুণ কষ্টের মধ্যে আছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ শ্রমজীবি মানুষরাই বেশি ভুগছে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল একটি শক্তিশালী সংগঠন। অতীতে যেভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে শ্রমিক দলের ভূমিকা ছিল আগামীতে আপনাদেরকে সুসংগঠিত ভাবে আন্দোলন-সংগ্রামে এগিয়ে আসতে হবে।আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। ডবলমুরিং থানা শ্রমিক দলের সভাপতি মোহাম্মদ হান্নান এর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক তারেক খান রাসেল এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় শ্রমিক দল নেতা শেখ নুর উল্লাহ বাহার, শ.ম জামাল, শামসুল আলম, শ্রমিক দল নেত্রী শাহ নেওয়াজ চৌধুরী মিনু, বিএনপি নেতা এসএম ফরিদুল আলম, নগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, শ্রমিকদল নেতা আবু বক্কর সিদ্দিক, আলতাফ হোসেন, হাসিবুর রহমান বিপ্লব, মোঃ মনির হোসেন, মফিজুল ইসলাম মানা, মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ।