এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনলো বিরোধীরা

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পর এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট এনেছে বিরোধীরা। পাঞ্জাব প্রাদেশিক পরিষদের সেক্রেটারি মুহাম্মদ খান ভাট্টির কাছে এরইমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দাখিল করেছেন আইনপ্রনেতাদের একটি প্রতিনিধিদল। অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুহাম্মদ খান ভাট্টিও। তিনি বলেছেন, এই প্রস্তাব এখন স্পিকারের কাছে নিয়মনীতি মেনে উত্থাপন করা হবে। এ খবর দিয়েছে ডন।
এদিকে রেডিও পাকিস্তান জানিয়েছে, একবার এই অনাস্থা প্রস্তাব স্পিকারের কাছে দাখিল করা হলে প্রাদেশিক পরিষদ ভেঙ্গে দেয়ার ক্ষমতা থাকবে না মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। এখন ১৪ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে বাধ্য স্পিকার। যে অনুরোধপত্র স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছে তাতে স্বাক্ষর করেছেন পিএমএল-এন নেতা রানা মাশুদ, সমিউল্লাহ খান, মিয়ান নাসির এবং অন্যান্যরা। এদিকে প্রাদেশিক পরিষদ থেকে প্রকাশিত এক নোটিসে জানানো হয়েছে, ১২৭ আইনপ্রনেতা বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন।

এক ভিডিও বার্তায় মাশুদ বলেন, প্রাদেশিক পরিষদ আহবানে ৭৪ সদস্যের স্বাক্ষরই যথেষ্ট। পাঞ্জাব পার্লামেন্টের বাইরে রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি আরও বলেন, ১৪ দিনের মধ্যে স্পিকার এখন অধিবেশন ডাকতে বাধ্য। সোমবার সকালে ৯টা ৪৫ মিনিটে এটি দাখিল করা হয়েছে। পাঞ্জাবের মানুষ আর বুজদারকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আগে থেকেই বুজদারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার লক্ষ্যে স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছিল। এখন আমাদের কাছে ১২৬ স্বাক্ষর রয়েছে এবং ইনশাল্লাহ ভোটের দিন আমরা বুজদারের বিরুদ্ধে দুই শতাধিক ভোট পড়বে। এই খবর শেয়ার করে পিএমএল-এন নেতা হিনা পারভেজ বাট বলেন, এরপরে আমরা খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং আজাদ কাশ্মীরে যাচ্ছি।
এদিকে, অনাস্থা ভোট নিয়ে আত্মবিশ্বাসের কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বুজদার। তার অফিস থেকে দেয়া এক টুইটে বলা হয়, তিনি আইনপ্রনেতাদের সঙ্গে একটানা যোগাযোগ করে চলেছেন। তারা জানিয়েছেন, এখনো বুজদারের ওপরেই ভরসা করেন তারা। বুজদার বলেন, পাঞ্জাবের বিরোধীদের জন্য সারপ্রাইজ রয়েছে। সংখ্যায় আমরা পরিপূর্ণ।