মহেশখালীতে হত্যা মামলার আসামীসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার

কক্সবাজারের মহেশখালীতে আধঘন্টা ব্যাপি পুলিশ ডাকাত বন্দুক যুদ্ধে ৫ টি দেশীয় তৈরী এলজি ৮ রাউন্ড তাজা কার্তুজ সহ মহেশখালী থানার পুলিশের এস আই পরেশ কারবারী হত্যা মামলার আসামী দুর্ধর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ হোসেন(৩৭)পিতা মৃত ছলিম উল্লাহ ছলু,বড় মহেশখালী ও লেদু মিয়া (৩৯) পিতা ছদর আমিন সাং কালাগাজী পাড়া হোয়ানক কে গ্রেপ্তার করেছে মহেশখালী থানা পুলিশ। মহেশখালী থানা সূত্রে জানা যায়, ২৭ এপ্রিল মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে এস আই মাহামুদুল হক সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স সহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা কালে রাত সাড়ে ৯ টার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মহেশখালী থানাধীন শাপলাপুর ইউনিয়নের গলাছিড়া কালবার্টের পশ্চিম পাশ্বস্থ পাহাড়ের জঙ্গল হতে অবৈধ অস্ত্র সহ ডাকাতির প্রস্তুতির এমনতর সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতরা এলোপাতাড়ী পুলিশকে লক্ষ করে গুলি বর্ষণ করে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পালটা গুলি বর্ষণ করলে তখন ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে আধঘন্টা ব্যাপী গুলি বিনিময় হয়। ডাকাত দল অনুমান ৩/৪ শত রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে, পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ৪৪ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করে। এক পর্যায়ে অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাত দল পাহাড়ের জঙ্গলের ভিতর পালানোর সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টটার সময় পুলিশ দুর্ধর্ষ ডাকাত মোহাম্মদ হোসেন(৩৭) লেদু মিয়া (৩৯)কে হাতে নাতে গ্রেপ্তার করে। এই সময় ডাকাত মোহাম্মদ হোসেন এর ডান হাত থেকে ১ টি দেশীয় তৈরী এলজি ও তার বাম হাতে থাকা শপিং ব্যাগ থেকে আরো ৩টি এলজি ও ৪ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে। অপর দিকে ডাকাত লেদু মিয়া ডান হাত থেকে ১ টি দেশীয় তৈরী এলজি ও তার বাম হাতে থাকা প্লাষ্টিকের শপিং ব্যাগে মোড়ানো অবস্থায় থেকে ৪ টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশ সে এলাকায় তল্লাশী চালিয়ে আরো ৮টি গুলির খোসা উদ্ধার করে। উক্ত বিষয়ে মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রভাষ চন্দ্র ধর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অস্ত্র ও গুলি সহ দুর্ধর্ষ ডাকাতদের বিরোদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা রুজু করা হবে।