পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ

পিলখানা ট্র্যাজেডির ১৩ বছর পূর্ণ হলো আজ। ফুলেল শ্রদ্ধায় আজ শুক্রবার সকালে স্মরণ করা হয়েছে শহীদদের। বনানী সামরিক কবরস্থানে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে অর্পণ করা হয়েছে পুষ্পস্তবক। একই সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, তিন বাহিনীর প্রধান (সম্মিলিতভাবে), বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদদের স্বজনসহ কবরস্থানে আগত মানুষ।

দিনটি পালন উপলক্ষ্যে বিজিবির সব স্থাপনায় বাহিনীর পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং বিজিবির সব সদস্য কালো ব্যাজ পরিধান করবে। বিজিবি থেকে জানানো হয়, তাদের সব সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জুমা পিলখানা বিজিবি কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা সেক্টর মসজিদ এবং বর্ডার গার্ড হাসপাতাল মসজিদে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া শহীদদের রুহের মাগফেরাতের জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদর দপ্তরসহ সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় কোরআন খতম করা হবে। বিজিবি’র সব মসজিদ এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে তৎকালীন বিডিআর সপ্তাহ চলাকালে ২৫শে ফেব্রুয়ারি সশস্ত্র বিদ্রোহ করেন বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য।

তাদের হাতে পিলখানা সদর দপ্তরে নিহত হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। হত্যা মামলায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫২ জনকে মৃত্যুদ- এবং ৪২৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- দেয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদ- দেয়া হয় ১৬১ জনকে। আর বিডিআর’র মোট পাঁচ হাজার ৯২৬ জন সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে (চার মাস থেকে সাত বছর) কারাদ- দেয়া হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) নাম বদলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) রাখা হয়।