সদরঘাট থানা যুবদলের শীতবস্ত্র বিতরণকালে আবুল হাশেম বক্কর
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধিনে কোনো নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না, এটা পরিক্ষিত সত্য। নির্বাচন কমিশন, সুষ্ঠু নির্বাচন ও দেশ পরিচালনার ব্যর্থতার সব দায় আওয়ামী লীগের। আওয়ামী লীগ কোনোভাবেই এ দায় এড়াতে পারবে না। এই সার্চ কমিটির তালিকা এবং নির্বাচন কমিশনও আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সার্চ কমিটি সম্পর্কে আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। সার্চ কমিটিতে যারা আছেন তারা অধিকাংশই আওয়ামী লীগ সমর্থিত। এমনও একজন আছেন যিনি আওয়ামী লীগ থেকে এমপি নমিনেশন নিয়েছিলেন। তাই দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এর কোনো বিকল্প নেই। তিনি বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর শুভপুর বাস স্টেশনের পাশে সদরঘাট থানা যুবদলের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার না থাকলে কোনো নির্বাচন কমিশনই অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সফল হবে না। এখন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সরকার তড়িঘড়ি করে আইন করে যে সার্চ কমিটি করেছে, সেটি আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকার নীলনকশামাত্র। বিগত দুইটি ভোট ডাকাতির সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাকে পুরোপুরি একটি প্রহসনে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার সম্পূর্ণভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বেআইনিভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে, গণতন্ত্রের সব সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে। একটি রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নির্বাচন কমিশন। আর এই নির্বাচন কমিশন যদি শক্তিশালী না হয়, তারা যদি সরকারের প্রভাবমুক্ত না হয়, তবে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। সদরঘাট থানা যুবদলের আহবায়ক মোহাম্মদ ইসমাইলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি নেতা মসিউল আলম স্বপন, মোহাম্মদ আলী, মোস্তাফিজুর রহমান ভুলু, সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, মহানগর জাসাসের আহবায়ক লায়ন এম এ মুছা বাবলু, চবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শপথ, সদরঘাটা থানা বিএনপির সি. সহ সভাপতি খোরশেদ আলম, সহ সভাপতি ওমর ফারুক রুবেল, সি. যুগ্ন সম্পাদক কাউসার হোসেন বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম, মো.জাহিদুল আলম, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সি. যুগ্ন সম্পাদক ইলিয়াজ রাশেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, রবিউল হোসেন, ওর্য়াড বিএনপি নেতা তসলিম আহমেদ, আলী আহমেদ, নগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শিব্বির আহমদ ওসমানি, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. নওশাদ, সহ সম্পাদক কমল জ্যোতি বড়ুয়া, আনোয়ার হোসেন, সুলতান মাহমুদ সুমন, নূর জাহেদ বাবলু, নগর কৃষক দলের সদস্য আজম খাঁন, শিব্বির আহমেদ, কোতায়ালী থানা যুবদলের সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসান, মহানগর যুবদল নেতা সালাউদ্দিন জুয়েল, মুরাদ হোসেন, সদরঘাট থানা তাঁতী দলের আহবায়ক আইয়ুব খান, সদরঘাট থানা যুবদল নেতা আব্দুল মান্নান, সদরঘাট থানা সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ইয়াছিন আরাফাত, সদস্য সচিব আনোয়ারুল আবেদিন মুন্না, যুগ্ম আহবায়ক ফয়সাল আহমেদ, পারভেজ পারু, সাগর, ওর্য়াড যুবদলনেতা নাঈম উদ্দিন, সদরঘাট থানা ছাত্রদল নেতা ই.ম জুয়েল, নাহিদ আলী, রাব্বী, মেহেদী প্রমূখ।
