সুপিরিয়র কাউন্সিল অব জুডিশিয়ারি ভেঙে দিতে চলেছেন তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট

সরাসরি বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ। তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের মাথায় চেপেছে নতুন পরিকল্পনা, সুপিরিয়র কাউন্সিল অব জুডিশিয়ারি প্রতিস্থাপন করতে চলেছেন তিনি। যার প্রতিবাদে গলা ছড়িয়েছেন দেশের বিচারক এবং আইনজীবীরা। যদিও দেশের আইনবিভাগ বলছে এরকম কোনো কিছুই দেশে প্রণয়ন করা যাবে না, কারণ দেশের আইন ব্যবস্থা রাষ্ট্রপতির নিয়ন্ত্রণাধীন নয়। যদিও তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ বৃহস্পতিবার পরিষ্কার করে বলে দিয়েছেন যে তিনি বিচার বিভাগের সুপিরিয়র কাউন্সিলকে কার্যকরভাবে ভেঙ্গে দিয়ে একটি ডিক্রি জারি করবেন।

বিচার বিভাগের সুপিরিয়র কাউন্সিল হল তিউনিসিয়ার প্রধান আইনি সংস্থা যা বিচারকদের কার্যকলাপ তত্ত্বাবধান করে এবং এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা রাখে। “সুপিরিয়র কাউন্সিল বিচার বিভাগের একমাত্র প্রতিনিধি” এই দাবি জানিয়ে রাষ্ট্রপতির জারি করা ডিক্রি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার, ২০০ জনেরও বেশি বিচারক এবং কালো পোশাক পরা আইনজীবী বিচার বিভাগে সাইদের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তিউনিসের বিচার প্রাসাদের বাইরে বিক্ষোভ করেছেন।

তাঁদের দাবি, স্বাধীন বিচার বিভাগ ছাড়া গণতন্ত্র চলে না।

সাইদ ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি সপ্তাহান্তে কাউন্সিল ভেঙে দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন এবং পুলিশ কাউন্সিল-এর অফিসে কাউকে প্রবেশ করতে বাধা দিচ্ছে। এই পদক্ষেপের প্রতিবাদে বুধবার থেকে ধর্মঘট করছেন বিচারপতিরা। বিচার বিভাগের সুপিরিয়র কাউন্সিলের সর্বোচ্চ ক্ষমতার উপর নিজের অধিকার কায়েম করার লক্ষ্য প্রেসিডেন্টের। গত জুলাইয়ে, তিনি তিউনিসিয়াকে এরকম একটি সাংবিধানিক সংকটে ফেলেছিলেন। দেশের সংসদ-এর কাজকর্ম স্থগিত দিয়েছিলেন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করেন এবং নিজেকে নির্বাহী ক্ষমতা প্রদান করেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর ব্যাখ্যা ছিল, এই “ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা” তিউনিসিয়াকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিউনিসিয়ার পুরো রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে বর্ণনা করে প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা সেইসময়ে তার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। আর প্রেসিডেন্টের সমালোচকরা বলেছিলেন, তিনি দেশকে কর্তৃত্ববাদী শাসনের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

সূত্র: www.dw.com