ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি: ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সিটি করপোরেশনের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্যাড, সিল, নমুনা স্বাক্ষর ব্যবহার করে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহনাজ রহমানের আদালতে মামলাটি করা হয়।

আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চট্টগ্রাম মেট্রোকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাদির আইনজীবী মোস্তফা মোহাম্মদ এমরান বলেন, চসিকের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের ভুয়া প্যাড, সিল, নমুনা স্বাক্ষর ব্যবহার করে ওয়ারিশ সনদ জালিয়াতি করার অভিযোগে ১০ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআই মেট্রোকে তদন্ত করে আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন, নগরের বন্দর থানার মধ্য হালিশহরের মৃত মোহাম্মদ শরীফের ছেলে মো. আবুল হাসেম, ডেইজী আকতার, কোহিনুর আকতার, একই এলাকার মৃত আলীর ছেলে মো. হোসেন শরীফ, মো. আমিন শরীফ, আলতাজ বেগম, নুর বেগম, রেজিয়া বেগম, কামরুন নাহার মনু ও গোলনাহার বেগম।

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ নভেম্বর ইস্যু করা কাউন্সিলর স্বাক্ষরিত দুইটি ওয়ারিশ সনদ পত্রের ফটোকপি সত্যায়িত করতে আসেন আবুল হাসেম। মৃত আলী ও মৃত মোহাম্মদ শরীফের ওয়ারিশের নাম উল্লিখিত দুইটি ওয়ারিশ সনদের ফটো কপি কাউন্সিলরের সামনে উপস্থাপন করলে কাউন্সিলর আসামি হাসেমকে ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর তার নয় বলে চ্যালেঞ্জ করেন। কিন্তু হাসেমও পাল্টা চ্যালেঞ্জছুঁড়ে দিলে কাউন্সিলর ওয়ারিশ সনদের বালাম বই পরীক্ষা করেন। বালাম বইয়ে দেখা যায় গত বছরের নভেম্বর মাসে কোনো ওয়ারিশ সনদই ইস্যু করা হয়নি। এক পর্যায়ের হাসেম স্বীকার করেন আসামিরা ওই ওয়ারিশ সনদ দুটি ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের প্যাড, সিল, স্বাক্ষর নকল করে তৈরি করেছে। বেড়িবাঁধের ভূমি অধিগ্রহণের সরকারি টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে এ কাজ করেছে বলে কথাও স্বীকার করেন আসামিরা। ওইদিনই জাল মূলসনদ দুইটি কাউন্সিলর অফিসে জমা দিয়ে তা বিনষ্ট করার কথা থাকলেও হাসেম তা জমা দেননি। এ ঘটনায় পরদিন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সচিব নগরের বন্দর থানায় এই ব্যাপারে একটি জিডি ও গত ১৯ ডিসেম্বর বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসকের দফতরে জানান।