রাইখালীর ভালুকিয়ায় অনুমোদন বিহীন ইটভাটার দূষণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত

নিজস্ব প্রতিবেদক
কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের কারিগর পাড়াধীন ভালুকিয়ায় দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে অবৈধ ভাবে চলছে ইটভাটা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের চোখে ফাঁকি দিয়ে লাইসেন্স বিহীন ইটভাটা চালিয়ে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের কারিগর পাড়া বন রেন্জ এলাকার মধ্যেই প্রভাব খাটিয়ে এবং সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে ইট ভাটার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রায় ৫ একর জায়গাজুড়ে গ্রামের মাঝে ওই ইটভাটা স্থাপন করে অবৈধ ভাবে ব্যবসা করা হচ্ছে। ইটভাটার ৫০ থেকে ১শ” গজের মধ্যেই রয়েছে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর একটি ভালুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, অপরটি ভালুকিয়া হাইস্কুল। যেখানে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হয়। তার পাশেই রয়েছে সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিক এবং একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। ইটভাটার কারণে পরিবেশ দূষণ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। পাশাপাশি ইটভাটায় মাটি ও জ্বালানীর যোগান দিতে গিয়ে কৃষকের ফসলের ক্ষতি, আশপাশের গাছ ও পাহাড় কেটে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে এ বিষয়ে আলাপকালে তারা জানায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে ইটভাটা নির্মাণ করা, দেশের কোন নীতিমালায় আছে, তা আমাদের জানা নেই। এক কথায়
ওই প্রধান শিক্ষকদ্বয় এব্যাপারে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন।
এদিকে, স্বাস্থ্যসেবা নিতে আশা ওলামং মারমা জানান, আমাদের পরিবেশ ও স্বাস্থের দু’টোরই ক্ষতি হচ্ছে, কে কার কথা শুনে, প্রশাসন এসব অনিয়ম দেখেনা। কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের কারিগর পাড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা কামাল হোসেন বলেন, ইটভাটাটি রেঞ্জের আওতাধীন বনাঞ্চলের ভিতরই করা হয়েছে। বন আইনে এভাবে ইটভাটা নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। ইটভাটা নিয়ে কিছু বললে মালিকপক্ষ ওপর মহলের ভয় দেখায় বলে তিনি জানান। এবিষয়ে রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমার ইউনিয়নের ভালুকিয়ায় স্থাপন করা হয়েছে। ইটভাটা পরিচালোনা করতে হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং জেলা প্রশাসকের অনুমিত বাধ্যতা মুলক। তবে তারা কি ভাবে চালাচ্ছে আমি জানিনা।
অপরদিকে, উক্ত ইটভাটার
মালিক বন্টুর নিকট মোবাইলে পরিচয় দিয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ঝামেলায় আছি, পরে আপনাকে ফোন করব বলে কল কেটে দেয়। এবং আর কল দেয়নি তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে পার্বত্য তিন জেলায় গড়ে ওঠা সব অবৈধ ইটভাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।