‘সমস্ত সাহস একত্রিত করে বলা’র মন্ত্র শিখিয়েছিলেন শওকত হাফিজ খান রুশ্নি

চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনজাগরণের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কবি শওকত হাফিজ খান রুশ্নির অনন্য অবদান ছিলো। শুধু তাই নয়, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে তরুণ প্রজন্ম এবং নতুন নেতৃত্ব তৈরীতেও তিনি অনবদ্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
শওকত হাফিজ খান রুশ্নির তীক্ষèধী কলম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষকে প্রতিনিয়ত উজ্জ্বিবীত করেছে।
প্রখ্যাত কবি-সাংবাদিক-লেখক-কলামিস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক মরহুম শওকত হাফিজ খান রুশ্নির ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সমস্ত সাহস একত্রিত করে বলছি’ শিরোনামে স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
গত ৩১ জানুয়ারি, বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের ৩য় তলায় চট্টলবন্ধু এস.এম জামাল উদ্দিন মিলনায়তনে সমাজ, সংস্কৃতি, উন্নয়ন, মানবাধিকার, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তচিন্তার জবাবদিহিমূলক সংগঠন আমরা করবো জয়-এর উদ্যোগে এবং মুক্তিযোদ্ধা এ.কে ফজলুল হক চেয়ারম্যান গণ পাঠাগারের সহযোগিতায় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলা সহ-সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা দীপংকর চৌধুরী কাজলের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আন্তর্জাতিক কমিটির মহাসচিব ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালি।
মোঃ আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন-সাবেক ছাত্রনেতা নির্মূল কমিটি চট্টগ্রামের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোঃ সায়েম, শেখ মুজিবুর রহমান, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, আইন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা কামরুল মিন্টু, মো. মঈনউদ্দিন সোহেল প্রমুখ।
প্রধান আলোচক শওকত বাঙালি বলেন, কবি রুশ্নির ধ্যান-জ্ঞান ছিলো মুক্তিযুদ্ধ। তাঁর লেখনীর প্রধান বিষয়ও ছিলো মুক্তিযুদ্ধ। তাঁর গ্রন্থের নামও ছিলো সাহসী ঠিকানার একাত্তর এবং সমস্ত সাহস একত্রিত করে বলছি। আমৃত্যু তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলেছেন সমস্ত সাহস একত্রিত করে। সমস্ত সাহস একত্রিত করে কথা বলার মন্ত্র তিনিই আমাদের শিখিয়েছিলেন এবং সমস্ত সাহস একত্রিত করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাগ্রত করেছেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে তিনি আপোষহীন ছিলেন আমৃত্যু।
সভাপতির বক্তব্যে দীপংকর চৌধুরী কাজল রুশ্নির অপ্রকাশিত রচনাবলী এবং প্রকাশিত গ্রন্থের পুনমুদ্রণের উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ জানান।